ফ্রান্স থেকে মো ইব্রাহিম
ফ্রান্সে উগ্রপন্থি ধারা নিরীহ পুলিশ অফিসারকে ধর্মের নামে হত্যার মাধ্যমে অনেক বড়ো জঘন্য অপরাধ করা হয়েছে ।নিহত পুলিশ অফিসারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইলো।আজকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্মান জানানো হয়েছে নিহত এ পুলিশ অফিসারের প্রতি।
হামলাকারী ছিলেন তিউনিসিয়ান নাগরিক এবং তিনি নিজে নিজেই ভিডিও দেখে ইসলামিক উগ্রপন্থির দিকে ঝুঁকে পড়েন।পুলিশের গুলিতে উনি নিহত হয়েছিলেন ঘটনাস্থলেই। আর এই হামলার আগে তিনি ফোনে এমন উগ্রপন্থা উস্কে দেয়ার ভিডিও দেখেছিলেন। ফ্রান্সের যেকোনো ধরণের ধর্মীয় কিংবা কট্টর ডানপন্থিদের জন্যে আরো কঠোর নতুন আইন অলরেডি গত বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি প্রপোজ করেছেন। যেকোনো কট্টর মতবাদকেই আটকে দেয়াই এটার উদ্দেশ্য।
একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, ফ্রান্সের প্রশাসন ২০১৫ সাল থেকে একটি সিস্টেম ডেভেলপ করা নিয়ে কাজ করেছে যেখানে একজন ইউজারের অনলাইন একটিভিটিস এবং ক্ষেত্র বিশেষে ইনবক্সের চ্যাট লিস্টও পড়তে পারবে। অলরেডি এইভাবে কয়েকজনকে ধরাও হইসে।কারণ অনেকে অনলাইনে চুপ থাকলেও আলাদা গ্রুপ ক্রিয়েট করে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিষাদগার করে একে অপরকে উগ্রপন্থার দিকে উস্কে দেয়। আগে থেকেই যেন পুলিশ এমন কারো বিহেভিওর বুঝতে পারে সেই জন্যে এই এপ্লিকেশন এর ফিল্ড বাড়ানো এবং ডেভেলপমেন্ট দ্রুত করা হবে।উদ্দেশ্য একটাই সন্ত্রাসবাদ এবং উস্কানি বন্ধ করা।
যাঁরা ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অনলাইনে এবং গোপনে চ্যাটে একে ওপরের সাথে বিষাদগার বিনিময় করেন মনে রাইখেন শুধু আপনি না অন্য একজনও আপনাদের চ্যাট দেখতেসে। আর সমালোচনা এবং বিষাদগার দুইটি দুই জিনিস,একটা গঠনমূলক আর অন্যটি ধ্বংসাত্মক।