স্বাস্থ্য ডেস্ক: রমজানের সময় এমনিতেই আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন আসে। অনেকে পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটি, বুক-পেটে ব্যাথা, বদহজমসহ নানা জটিলতায় ভোগেন।
তবে খাবার গ্রহণে কিছুটা সতর্কতা ও নিয়ম মেনে চললে এসব সমস্যার বেশিরভাগই এড়ানো সম্ভব।
রোজায় ইফতার, রাতের খাবার ও সেহরি খাওয়ার বিষয়ে কিছু নিয়ম মানতে হবে।
জেনে নেই রোজায় কি ধরনের খাবার খাবেন ও কি কাবেন না –
যে ধরণের খাবার খাবেন
যে ধরণের খাবার খাবেন না
রোজা রেখে যেভাবে সুস্থ থাকবেন
রোজার সময় সারাদিন কোন খাবার এবং পানীয় গ্রহণ না করলেও আমরা আমাদের ব্যক্তিগত, সাংসারিক এবং পেশাগত দৈনন্দিন কাজকর্ম চালিয়ে যাই নিয়মিত।
জীবনের গতিশীলতার প্রয়োজনে শরীরের অভ্যন্তরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং প্রতিটি সিস্টেমকেই সচল থাকতে হয়। আর এই সচলতার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত শক্তি।আর এই শক্তির জন্য যে জ্বালানী প্রয়োজন তা আসে খাবার থেকে।
প্রশ্ন আসতে পারে রোজার সময় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকলে সেই জ্বালানী আসবে কোথা থেকে!আমরা সারা বছর যে সমস্ত খাবার খেয়ে থাকি তার সবটাই শরীরের কার্যক্রম চালাতে প্রয়োজন হয় না।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত শক্তি শরীর লিভার এবং মাংসপেশীতে জমা করে রাখে। ফাস্টিং বা রোজা পালনের সময় শরীর সেই জমিয়ে রাখা জ্বালানী পুড়িয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
পাশাপাশি রোজার সময় আমরা সেহরি এবং ইফতারে যে খাবার খেয়ে থাকি তা থেকেও শরীর সারাদিনের জন্য শক্তি পেয়ে থাকে। ফুয়েল বা শক্তি হিসেবে জমা থাকা অতিরিক্ত চর্বি পুড়ে যাওয়ার ফলে শরীর হালকা ও ভারমুক্ত হয়।
সেহরি এবং ইফতারে সঠিক খাদ্য নির্বাচন রোজার মাসে আমাদের শরীর পুনর্গঠন হতে সাহায্য করে।পুরাতন কোষ এবং বর্জ্য ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নানা ধরনের অ-সংক্রামিত রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, থাইরয়েড এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
শুধু অসংক্রামিত রোগব্যধিই নয়, রোজায় সঠিক এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস সংক্রমিত রোগ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সংক্রমিত রোগ কোভিড-১৯ নিয়ে সারা বিশ্ব এখন অস্থিতিশীল স্বাস্থ্য পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাসকে নির্মূল করা এখনও নাগালের মধ্যে আসেনি।শতকরা বিশ জন মানুষ প্রতিদিন এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হচ্ছে। আশার কথা হচ্ছে করোনা মোকাবেলা করে তারাই জয়ী হচ্ছে যাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী।
যারা স্বাস্থ্যকর সুষম খাবার খান এবং নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম বা শরীরচর্চা করেন, শরীরে রোদ লাগান, তাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অন্যদের তুলনায় রোগ জীবানু ধ্বংসে বেশি কার্যকরী।তাই রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার পাশাপাশি অবশ্যই সঠিক পুষ্টি চাহিদা অনুযায়ী সেহরি এবং ইফতারে খাদ্য নির্বাচন করতে হবে।
আসুন দেখে নেই সুস্থতার জন্য সেহরি ও ইফতারে কিধরণের খাবার খেতে পারেন।