দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
নির্বাচন এলেই বিভিন্ন সরকারি বা বিরোধী দলের এক বা একাধিক নেতা নির্বাচনের জন্য জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।কথার ফুলঝুড়ি জনগণের পাশে থাকবার অঙ্গীকার করেন। বলতে গেলে করোনায় দেশের সংকট মুহূর্তে দিনাজপুর ৬ আসনে একমাত্র শিবলী সাদিক এমপি সারা মাঠে নেই আর কোনো নেতা। এসব নেতার মধ্যে অনেকেই কোটিপতি। তাঁদের কেউ কেউ সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করে পরাজিত কিংবা মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন,ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন কিংবা পরাজিত হয়েছেন এসব নেতার অনেকে কোটি টাকা ব্যয় করেছিলেন বলে আলোচনা আছে। কিন্তু এখন কোটি টাকার আওয়াজ দেওয়া সেই নেতাদের প্রায় ৮০ শতাংশের কোনো খবর নেই।
নির্বাচন এলে অনেক নেতারা কথায় কথায় কোটি টাকার আলাপ করেন। তাঁদের অট্টালিকা রয়েছে উপজেলা শহরে, রয়েছে অনেক মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখন দেশের দুঃসময়ে সেসব নেতা কই? করোনারসংক্রমণ প্রাদূর্ভাবের এই দুঃসময়ে (বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর) এই চার উপজেলার কোটি টাকার মালিক নেতাদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন মন্তব্য ঘুরে-ফিরে আসছে।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন শুধুসরকারি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমেই ব্যস্ত। করোনা কর্মহীন শ্রমজীবি ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে অনেক সংগঠন।
এ বিষয়ে বর্তমান সাংসদ সদস্য ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য এমপি শিবলী সাদিক বলেন, ‘চলমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আমার নির্বাচনী এলাকার ৫০ হাজার লোকের পাশে ত্রাণ কার্যক্রম বিতরণ চলমান রয়েছে। এটি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে ত্রাণের পরিমাণ আরো বাড়বে।’
তিনি বলেন জনগণের পাশে গিয়ে থাকল আর কেউ থাকলো না সেটা বিবেচনা করবে জনগণ কিন্তু আমার যেটা দায়িত্ব কর্তব্য আমি পালন করার চেষ্টা করতেছি আর এখন কোনো রাজনীতি করার সময় নয়। আমি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি তারা যেন খাদ্যের কারনে রাস্তায় না বেরিয়ে পড়ে।এই মুহূর্তে নেতা থেকে শুরু করে সমাজের বিত্তবানদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহব্বান জানান।’