ওয়েব ডেস্ক:
রাজধানী ঢাকায় ঝরছে অঝোর বৃষ্টি। মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল ১০টার দিকে শুরু হয় এ বৃষ্টিপাত। সঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া ও বজ্রপাত। এদিন ভোরেও বৃষ্টিতে ভিজেছিল ঢাক। বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় মঙ্গলবার ভোরে। ভোর ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
স্বস্তির বৃষ্টি হলেও কিছুটা নাকাল হচ্ছেন রাজধানীবাসী। অফিসগামীদের পড়তে হয়েছে বিড়ম্বনায়। অনেক স্থানেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে।
এদিকে বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান সব নদ ও নদীর পানি সমতল বাড়ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ও ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও এর কাছাকাছি ভারতের আসাম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান সব নদ ও নদীর পানি সমতল এই সময়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পর্যবেক্ষণাধীন ৩৯টি পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯টিতে, হ্রাস পেয়েছে ১৭টিতে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টিতে।