মহিন প্রধান,চাঁদপুর প্রতিনিধি:
সৌদির সাথে মিল রেখেকালকে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ
সৌদির সাথে মিল রেখে ১৩ মে বৃহস্পতিবার চাঁদপুর জেলার ৪০ গ্রামের মানুষ ঈদ করবেন।
১৯২৮ সালে হাজিগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবারের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহঃ) প্রথম বাংলাদেশে এ মতটি চালু করেন। পরবর্তীতে তাঁর অনুসারী হয়ে এসব অঞ্চলের মুসলমানগন চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পালন করে থাকেন।
চাঁদপুরের প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এমন রীতি অনুসরন করে আসছেন। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মরহুম মাওলানা ইসহাক খানের ছেলে মাওলানা আবু বক্কর।
ব্যাখ্যাতে তিনি দাবি করেন সারাদেশে বর্তমানে প্রায় এক কোটি মুসলমান সৌদির সাথে মিল রেখে রোজা রাখছেন সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদ করবেন তারা। শুধু সাদ্রা পরী অনুসারী নয়, দেশে এখন বিভিন্ন হুজুরের অনুসারীরাও সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা রাখছেন সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদ করবেন তারা।
চাঁদপুরের চার উপজেলার ৪০টি গ্রামের মানুষ কালকে ঈদ করবেন। গ্রামগুলোর অধিকাংশ মুসলিম।
এ মতে অনুসারী গ্রামগুলো হলো সাদ্রা, বলাখাল, মনিহার, অলিপুর, বড়কুল, শমেশপুর, ঝাঁকনি, রামচন্দ্রপুর, প্রতাপুর, বেলচোঁ, উভারামপুর, সুরঙ্গচাল ও গোবিন্দপুর। ফরিদগঞ্জের গ্রামগুলো হলো সাচনমেঘ, ভূলাচৌ, বিঘা, বাছপাড়া, খিলা, ওড়তলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নোয়ারহাট, বাশারা, পনিসাইর, কামতা, পাইকপাড়া, কাইতারা, টোরামুন্সীরহাট, মূলপাড়া, বদরপুর, তেলিসাইর। মতলবের গ্রামগুলো হলো আশ্বিনপুর, নায়েরগাঁও, পাঁচানী, দশানী, মোহনপুর, এখলাসপুর ও বেলতলী এবং কচুয়ার কয়েকটি গ্রাম।
প্রসঙ্গত সৌদি আরবের রীতি অনুসরণে এক দিন আগে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন সাদ্রা পীর মরহুম মাওলানা ইসহাক খানের অনুসারীরা। ১৯৩১ সালে প্রথম হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭নং বড়কুল ইউনিয়নের সাদ্রা গ্রামে এ রীতি চালু করেন তিনি।