অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অপহরণের মামলা থেকে ইটালির ডানপন্থি রাজনৈতিক দল ‘লীগ’ পার্টির প্রধান মাত্তেও সালভিনিকে অব্যাহতি দিয়েছে দেশটির আদালত।শুক্রবার সিসিলির কাতানিয়া শহরের একটি আদালতের বিচারক এ রায় দেয়।
২০১৯ সালে দায়ের করা এক মামলায় সালভিনির বিরুদ্ধে শরণার্থীদের উপকূলে ভিড়তে না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। মাত্তেও সালভিনি সেসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন৷ একশ’জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে একটি জাহাজ দেশটির গ্রেগরেট্টি সমুদ্র উপকূলে ভিড়ার চেষ্টা করে। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অধিকাংশই ছিল সুদানের নাগরিক। কিন্তু মাত্তেও সালভিনি জাহাজটিকে তীরে ভিড়তে দেননি।
‘বন্ধ-বন্দর’ আইনের অজুহাত দেখিয়ে সালভিনি সেসময় জানান, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনুপ্রবেশের হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে তিনি এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে ইটালির সাথে ইইউ এর দেশগুলোর এক চুক্তি সাক্ষরের কারণে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা তীরে নামতে পেরেছিলেন।
এ ঘটনার পর ইটালির সিনেট এক ভোটের মাধ্যমে সালভিনির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
গত শুক্রবার মামলার প্রসিকিউটর আদালতকে সালভিনির বিরুদ্ধে বিচার না চালানোর কথা বলে। তাদের দাবি, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তীরে নামতে না দেওয়ায় যে সিদ্ধান্ত সালভিনি নিয়েছিলেন তাতে আন্তর্জাতিক আইনের কোনো বরখেলাপ হয়নি। তাছাড়া এটি অপহরণ বলে বিবেচনা করার মতো বিষয় নয় বলেও আদালতকে জানান তারা।
আদালত থেকে বেরিয়ে সালভিনি বলেন, “এ রায়ে প্রমাণ হয় যে, ইটালি ও এর সীমান্তের মর্যাদা রক্ষা করে একজন মন্ত্রী তার দায়িত্ব পালন করেছেন।”
আরেকটি আইনি প্রক্রিয়ার মুখে সালভিনি
বন্দর বন্ধ রাখার নীতির বিষয়ে সালভিনির বিরুদ্ধে এটিই শেষ মামলা নয়। একই ধরনের আরেকটি মামলায় তাকে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
পালেরমোতে তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে ১৬৪জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে তীরে নামতে না দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি চলছে। সেসময় স্প্যানিশ দাতব্য সংস্থা ওপেন আর্মসের ১৬৪জন শরণার্থীসহ একটি জাহাজকে ছয়দিন তীরে ভিড়তে দেননি সালভিনি।
তবে এ মামলার বিষয়ে সালভিনির বক্তব্য হলো, “কাতানিয়ার আদালত যদি আমার বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগের সত্যতা না পায় তাহলে আমি জানি না একই বিষয় কেন পালেরমোর আদালতে চলবে।”
উল্লেখ্য, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে সালভিনির।
আরআর/এপিবি (ডয়চে ভেলে)
সুত্র :ইনফোমাইগ্রেন্টস