আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো ডি সজা বলেছেন ‘আমাদের অভিবাসী প্রয়োজন তবে অবশ্যই তাদেরকে প্রাপ্য পূর্ণ মর্যাদা প্রদান করতে হবে’।
তিনি বলেন, পর্তুগালের দেশব্যাপী করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও কৃষি অধ্যুষিত অঞ্চল অদিমেরাতে উচ্চ সংক্রমণের কারণে প্রশাসনের সোচ্চার নজরদারিতে অভিবাসীদের অমানবিক জীবনযাপন, মানবপাচার, দুর্নীতির মত নানা গুরুতর অভিযোগ ধরা পড়ে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট সহকারে প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট অঙ্গ সংগঠন এ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন ফলে গত দুই সপ্তাহ যাবত বিষয়টি প্রতিদিনের আলোচনায় বিরাজ করছে কেননা অভিযোগগুলি খুবই গুরুতর এবং তা অভিবাসীদের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করে যা পর্তুগিজ এবং ইউরোপিয়ান জীবনব্যবস্থায় কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
রাষ্ট্রপতি মার্সেলো বলেন, পর্তুগালের কৃষিক্ষেত্রে অনেক শ্রমিক প্রয়োজন এবং দেশটিতে বেকার লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয় তাদেরও কাজের প্রয়োজন তবে চাহিদার জন্য কর্মী কম হলেও বেশি কর্মীদের কাজের আগ্রহের কারণে মালিকপক্ষ নির্ধারিত মজুরির প্রদান করেনা। তাছাড়া তাদের বসবাসের স্থানটি নিয়ম অনুযায়ী বন্দোবস্ত করেন না ফলে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করতে হয়। অপরদিকে কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে ও সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব রয়েছে।
গত বেশ কিছুদিন যাবতই সরকারের বিভিন্ন তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের তদন্তের মাধ্যমে অনিয়মের বিষয়গুলো উঠে এসেছে ফলে মহামারির সংক্রমণের কারণে অভিবাসীদের স্বার্থরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পর্তুগিজ সরকারের সামনে এসেছে।
এমতাবস্থায় সরকার নতুন করে অঞ্চলে তথা পর্তুগালের অভিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করা এবং তাদের যথাযথ মূল্যায়নের করার জন্য নজরদারির বিষয়গুলো জোরদার করছে। যা পর্তুগালের নিরাপদ অভিবাসনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সূত্র:জাগো নিউজ