রাকিব শান্ত, উত্তরবঙ্গ ব্যুরো প্রধানঃ
বগুড়ার পাইকারি বাজারে গত ১২ দিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। অস্বাভাবিক এই দাম বৃদ্ধির প্রভাব পরেছে খুচরা বাজারেও।
উল্লেখ্য যে, বগুড়া জেলা জুড়ে ৩ হাজার ৮ শত হেক্টর জমিতে ৪২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে বাজার মনিটরিং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন তারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছেন।
বগুড়ার বাজারে পেঁয়াজের দর গেল কয়েক দিনে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, পাইকারী বাজারে গত ১২ দিন আগে যে পেঁয়াজ ৩০-৩১ টাকায় বিক্রি হয়েছে তা আজ ৪৪-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সেই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বরাবরের মতোই অভিযোগ করে বলছেন যে, পাবনা নাটোর থেকে পেঁয়াজ কিনে পরিবহন খরচ মিটিয়ে ও বাজারে পেঁয়াজ এর সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম থাকায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাইকারী একজন ব্যবসায়ী জানান, তার প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে খরচ পরে ৪৪-৪৫ টাকা, এর সাথে প্রতি কেজিতে ৩ টাকা করে বস্তা কাটিংয়ে খরচ যোগ হয়ে মূল্য দাঁড়ায় ৪৮ টাকায়, যা তারা ৫০ টাকায় বিক্রি করেন।
রাজাবাজার আড়ৎদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাঃসম্পাদক – পরিমল প্রসাদ রাজ “দৈনিক প্রত্যয়” কে জানান, খামারবাড়ী থেকে যে আইপি পারমিশনটা নেওয়া হয় তা এই মুহূর্তে বন্ধ আছে, যার ফলে তারা আমদানি করতে পারছেন না।
তিনি আরো বলেন, যদি আইপির পারনিশন পাওয়া যায় তাহলে পেঁয়াজের দর স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় এই পেঁয়াজ এর দাম এভাবে হঠাৎ করে ঊর্ধ্বমুখী হওয়াতে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধিকতর নজরদারির দাবি জানান সাধারণ ক্রেতারা।
বাজার পরিদর্শক মোঃ আবু তাহের দাবি করেন যে, তারা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছে, পাশাপাশি কৃষক যেন লাভবান হয় সে ব্যাপারে তারা সজাগ দৃষ্টি রাখছেন বলেও জানান তিনি।