ইংলিশ চ্যানেল পার হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করছিলো অভিবাসীদের একটি নৌকা৷ নৌকাটিকে ফ্রান্সের জলসীমায় ঢুকে যুক্তরাজ্যের ডোভারে নিয়ে আসার অভিযোগা আনা হয়েছে ব্রিটিশ বর্ডার ফোর্সের বিরুদ্ধে।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল সূত্রে জানা গেছে, বর্ডার ফোর্সের একজন কর্মকর্তা একটি রেডিও বার্তায় ফ্রান্সের জাহাজের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন যেনো তারা অভিবাসীদের নৌকাটিকে তাদের জলসীমা থেকে নিয়ে আসতে পারে। পরবর্তীতে শনিবার নৌকাটিকে যুক্তরাজ্যের ডোভার উপকূলে নিয়ে আসা হয়।
স্বরাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানান,”আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস ইউনিয়নের কর্মকর্তা লুসি মোরটন বলেন, “এ ঘটনার ব্যাপারে কোন প্রাথমিক তথ্য আমার হাতে নেই। তবে আপাতদৃষ্টিতে অভিবাসীদের জীবনের কোনও হুমকি ছিল বলে মনে হচ্ছে না৷’’ তিনি আরো বলেন, “যদি যুক্তরাজ্যের জাহাজটি অনুমতি নিয়েই ফ্রান্সের সীমানায় প্রবেশ করে থাকে, তারপরেও পদক্ষেপটিকে সঠিক বলা যাবে না।”
নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অগ্রাধিকার পেয়েছে
ফ্রান্সের স্থানীয় ম্যারিটাইম প্রেফেকচুর দ্য লা মনশ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “হালকা নৌকাগুলো সাধারণত সমুদ্রে যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে চলাচলের চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে অবশ্যই সবার আগে মানুষের জীবন রক্ষা করাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।”
বিবৃতিতে আরো বলা হয় “ নৌকাটি মারাত্নক ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করেছিল। নৌকাটি অতিরিক্ত মানুষ ছিলো, লাইফ জ্যাকেটের অভাব, সমুদ্রের তাপমাত্রা এবং যাত্রীদের সাঁতারের অনুপযুক্ত পোশাক ইত্যাদি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছিলো। সেজন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের উদ্ধারের আহবানে সাড়া দেয়া হয়েছে।”
প্রেফেকচুর আরো জানায়, “লা মনশ চুক্তির আওতায় ইংলিশ চ্যানেলে যেকোন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দুটি দেশ একসাথে কাজ করতে পারবে। অর্থ্যাৎ ফ্রান্সের জলসীমায় যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাজ্যের সীমানায় ফরাসি বাহিনী কাজ করতে পারবে৷’’
গত এক সপ্তাহে প্রায় শতাধিক অভিবাসী ইংলিশ চ্যানেল পার হয়েছে। শুক্রবার থেকে ব্রিটিশ বর্ডার ফোর্স ৮৮ জনকে বহনকারী চারটি নৌকা নিয়ে কাজ করছে।
এ বছর এখনো পর্যন্ত ৪,০০০ এরও বেশি অভিবাসী যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে এ বছর অভিবাসী প্রবেশের সংখ্যা গত বছরের (৮,০০০) সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে , “আদম পাচারের সাথে জড়িত বিভিন্ন গ্যাং এবং অপরাধী দলগুলো দমনে পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে, এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় হাজারেরও বেশি মানুষকে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়া থেকে বিরত রাখা গেছে।”
সুত্র :ইনফোমাইগ্রেন্টস