জার্মানিতে সহায়ক সুরক্ষার (সাবসিডিয়ারি প্রটেকশন) অধীনে থাকা পরিবারের সদস্যের সঙ্গে মিলিত হওয়ার ভিসা পেতে মার্চের শেষ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জার্মান দূতাবাস বা কনস্যুলেটগুলোতে ১০ হাজার ৯৭৪ জন সাক্ষাৎকারের অপেক্ষায় ছিলেন৷
নির্যাতন, যুদ্ধের কারণে নিজ দেশে অবস্থান যাদের জন্য প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ এমন ব্যক্তিদের সহায়ক সুরক্ষা সুবিধা দেয় জার্মানি৷ অনেক সিরিয়ার শরণার্থী এর অধীনে বর্তমানে দেশটিতে অবস্থান করছেন৷ এমন সুরক্ষায় থাকাদের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও মিলিত হওয়ার জন্য জার্মানির ভিসা পেয়ে থাকেন৷ প্রতি মাসে আইনত এক হাজার ভিসা দেওয়ার সীমা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তা কয়েকগুণ কমে গেছে৷ যেমন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত জার্মান মিশন মাত্র ২৬৪টি পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসা দিয়েছে৷ ফেব্রুয়ারিতে ৪৭৩টি, মার্চে ৪৪২টি ও এপ্রিলে দেয়া হয়েছে ৩৬৩টি ভিসা৷
প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ হলে পরিবারের সদস্যরা যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন৷ আবেদনপত্র জমা ও সাক্ষাৎকারের জন্য আগেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট বা সময় নিতে হয়৷ এরপর আবেদনকারী ও জার্মানিতে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যের তথ্য যাচাই করে দূতাবাস ও সংশ্লিষ্ট জার্মান দপ্তরগুলো৷ এই প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক মাস সময় লাগে৷ এক্ষেত্রে জার্মান পররাষ্ট্র দপ্তর ও বিদেশি মিশনগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি করে জার্মানির ফেডারেল অফিস অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন৷
মহামারির কারণে বিভিন্ন দেশের চলমান বিধিনিষেধে জার্মান কনস্যুলেটগুলোতে কাজের পরিধি ব্যাপক হারে কমে যায়৷ একারণে বিভিন্ন ধরনের ভিসার জন্য অপেক্ষার সারি দীর্ঘ হতে থাকে৷
সুত্র :ইনফোমাইগ্রেন্টস