ওয়েব ডেস্ক: শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা ও বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তের কারণে আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার অবিচল দৃঢ়চেতা বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার কারণে আজকে পরপর তিনবার আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায়। একটি ঘরের মধ্যে যদি একটি পিলারে পোকা লাগে তাহলে সেই ঘর কিন্তু নড়বড়ে হয়ে যায়। সুতরাং আমাদের দলের মধ্যেও এমন কাউকে ঢোকানো যাবে না যারা উইপোকার মতো দল কেটে ফেলে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৪০ বছরের পথ চলায় আমরা কে কতটুকু জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকতে পেরেছি জানি না। কিন্তু ৪০ বছরের দীপ্ত পথচলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে আছেন এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আছেন। তাকে বারবার হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুকন্যা কখনো বিচলিত ও দ্বিধান্বিত হননি। বরং আরও দীপ্ত পদভারে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণের পদযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সেই কারণে আজকে মানুষের ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর বিএনপি, মুসলিম লীগ ও জাসদের লোকজন বলতো, আওয়ামী লীগ আর কখনো ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাদের সেই দম্ভকে চুরমার করে ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দল ক্ষমতায় আসে। আবার ২০০৮ সালে ধ্বস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে দেশের মানুষ পরপর তিনবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন শেখ হাসিনাকে। পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবার পেছনে যার একক অবদান তিনি হচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
ড. হাছান বলেন, ‘১৯৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশে জিডিপি গ্রোথ রেট ছিল ৭ দশমিক ৪। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৪০ বছরে সেটি আমরা অতিক্রম করতে পারিনি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটি আমরা অতিক্রম করেছি।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, সহসভাপতি অধ্যাপক মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, স্বজন কুমার তালুকদার ও মহিউদ্দিন রাশেদ প্রমুখ।