বিশেষ প্রতিবেদন:বাংলার দিকেই আমফানের অভিমুখ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, রবিবার ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ১৮ থেকে ১৯ মে–র মধ্যে পশ্চিমবাংলার ওপর দিয়ে বয়ে যাবে। জানা গিয়েছে, এখন ঘূর্ণিঝড় আমফান অবস্থান করছে ওডিশার পারাদ্বীপ থেকে ১১০০ কিমি দক্ষিণে। দিঘা থেকে ঘূর্ণিঝড়টি রয়েছে দক্ষিণে ১২৫০ কিমি দূরে। বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ঝড়টি রয়েছে ১৩৫০ কিমি দক্ষিণ–পশ্চিমে।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে যখন লকডাউন চলছে, তখন এই ঝড় কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে কিছুটা বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই দুই সরকারই এই ঝড়ের সময় বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার জন্য তৈরি রয়েছে বলে দিল্লি ও কলকাতা সূত্রে জানানো হয়েছে। আমফানের মোকাবিলা করতে কেন্দ্রীয় সরকার এনডিআরএফ বা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দলকে রাজ্যে পাঠাচ্ছে। একটি দল যেমন সাগরদ্বীপে থাকবে, অন্য দলটির থাকার কথা কাকদ্বীপে। রবিবার সকালে দলদুটির নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার কথা।
পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কোস্ট গার্ড এবং ভারতীয় নৌসেনায়ও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কোস্ট গার্ডের জাহাজগুলি ইতিমধ্যেই উপকূল এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে। কোনও মৎস্যজীবী যাতে গভীর সমুদ্রে না যান, সে কথা কোস্ট গার্ডের জাহাজ থেকে মাইকিং করে ঘোষণা করা হচ্ছে। আর, যে সব মৎস্যজীবী এখন গভীর সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের দ্রুত ফিরে আসার জন্যেও বলা হচ্ছে। তৈরি রয়েছে নৌবাহিনীও। সাইক্লোনে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটলে যাতে দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করা যায়, সেইজন্য নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলি ওডিশা এবং বাংলার উপকূলে রয়েছে।
এদিকে, শনিবার সন্ধে থেকে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ ঝড়–বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে সেই বৃষ্টি আমফানের জন্যই কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আমফানের কারণে রবিবার থেকেই কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুরে ব্যাপক ঝড়–বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।