1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : Rakibul Hasan Shanto : Rakibul Hasan Shanto
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

শুভ জন্মদিন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ

  • Update Time : রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০২১
  • ২১৯ Time View

ওয়েব ডেস্ক: শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মদিন আজ। ১৯৩৯ সালের আজকের এই দিনে কলকাতার পার্ক সার্কাসে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

আলোকের ঝরনা ধারায় মানুষের ভেতরের অসীম সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তরুণদের বড় করে তুলে সংঘবদ্ধ জাতীয় শক্তিতে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেছেন তিনি। স্বপ্ন দেখা, স্বপ্ন দেখানোর এই গুণী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

১৯৭৮ সালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে তিনি দেশের হাজারো শিক্ষার্থীকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করছেন। দেশে পাঠাগারের অপ্রতুলতা অনুধাবন করে তিনি ১৯৯৮ সালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষের হাতের কাছে বই পৌঁছে দিতে শুরু করেছিলেন ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রম। করেছেন স্কুল-কলেজ পর্যায়ে বই পড়া কর্মসূচি।

গুণী এই মানুষের পৈতৃক নিবাস বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কামারগাতি গ্রামে। তার বাবা আযীমউদ্দিন আহমদ ছিলেন শিক্ষক। ১৯৫৫ সালে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ পাবনা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক, ১৯৫৭ সালে বাগেরহাটের প্রফুল্লচন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থকে স্নাতক ও ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৬১ সালে শিক্ষকতা দিয়েই কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর সিলেট মহিলা কলেজ, রাজশাহী কলেজ ও ঢাকায় ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে (বর্তমানে ঢাকা বিজ্ঞান কলেজ) শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি ঢাকা কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ জালালউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রণে সেখানে যোগদান করেন। ঢাকা কলেজেই তিনি তার শিক্ষকতা জীবনের স্বর্ণযুগ অতিবাহিত করেন।

ষাটের দশকে যে নতুন ধারার সাহিত্য আন্দোলন হয়, তিনি ছিলেন তার নেতৃত্বে। সাহিত্য পত্রিকা কণ্ঠস্বর সম্পাদনার মাধ্যমে সেকালের নবীন সাহিত্যযাত্রাকে তিনি নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা দিয়ে সংহত ও বেগবান করে রেখেছিলেন এক দশক ধরে। কবিতা, প্রবন্ধ, ছোট গল্প, নাটক, অনুবাদ, জার্নাল, জীবনীমূলক বই ইত্যাদি মিলিয়ে তার গ্রন্থভান্ডার যথেষ্ট সমৃদ্ধ। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ২৭টি। তার লেখা ‘সংগঠন ও বাঙ্গালী’ ও বক্তব্যসংবলিত গ্রন্থ ব্রাহ্মণের বাড়ির কাকাতুয়া অতি বিখ্যাত।

তিনি ২০০৪ সালে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার, ২০০৫ সালে শিক্ষায় অবদানের জন্য একুশে পদক, ২০১২ সালে প্রবন্ধে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০১৭ সালে বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন থেকে পালমোকন-১৭ সম্মাননাসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

এছাড়াও তিনি সামাজিক আন্দোলনে উদ্যোগী ভূমিকার জন্যও দেশব্যাপী অভিনন্দিত। ডেঙ্গু প্রতিরোধ আন্দোলন, পরিবেশ দূষণবিরোধী আন্দোলনসহ নানা সামাজিক আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..