ওয়েব ডেস্ক: মাদক মামলায় ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সর্বশেষ তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মাদক মামলার জবানবন্দিতে মাদকের সূত্র নিয়ে কিছু বলেননি পিয়াসা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসান ও পিয়াসার বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলাটি (মামলা নং ৩) বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।
তিনি বলেন, মামলার এজাহারনামীয় এবং গ্রেফতারকৃত আসামি পিয়াসাকে (৩০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তার তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) পিয়াসাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে তিনি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বলেন, পিয়াসা জবানবন্দির একটি অংশে উল্লেখ করেন যে, অস্ত্র হাতে তার একটি ছবি ভাইরাল হয়। অস্ত্রটি ইনডেক্স গ্রুপের এমডি সাফিউল্লাহ আল মুনির ওরফে ইনডেক্স মুনির তার অফিসে শো অফ করেন। তিনি ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং অস্ত্রটি হাতে নিলে তোলা ছবি ভাইরাল হয়। তার ধারনা, ছবিটি তার শ্বশুর ভাইরাল করেছেন।
গত ১ আগস্ট রাতে বারিধারার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে পিয়াসা ও মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে মৌকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গুলশান, ভাটারা ও খিলক্ষেত থানার পৃথক তিনটি মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় পিয়াসাকে।
এ ব্যাপারে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পিয়াসা ও মৌয়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। পিয়াসা বারিধারার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। আর মৌ থাকেন মোহাম্মদপুরে। তারা দুজন একই চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে উঠতি বয়সের ছেলেদের নিয়ে এসে মাদকদ্রব্যা সেবন করিয়ে আপত্তিকর ছবি তোলার অভিযোগ রয়েছে। এরপর ব্ল্যাকমেইল করে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন এই দুই নারী।
২০১৭ সালে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার সময় মডেল পিয়াসার নাম উঠে আসে। ওই মামলায় তিনি নিজেকে অভিযুক্ত আসামি শাফাত আহমেদের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছিলেন। ওই মামলার সাক্ষীর তালিকায় পিয়াসার নাম রয়েছে। যদিও আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাননি তিনি।