ওয়েব ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় কুটির, মাইক্রো, ছোট ও মাঝারি শিল্পে (সিএমএসএমই) সরকার ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য দ্বিতীয় পর্যায় ২০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
এ প্রণোদনা বাস্তবায়নে দেশের ৫৭টি ব্যাংক ও কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণে টার্গেট নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতোমধ্যে টার্গেটের ৩০০ কোটি টাকা জুলাই-আগস্টে বিতরণ করেছে বিভিন্ন ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগেও করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় সিএমএসএমই খাতের জন্য সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। এ জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
সিএমএসএমই প্রণোদনা প্যাকেজের দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৫৭টি ব্যাংককে এ ঋণ বিতরণের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ১৯ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। আর বাকি অর্থ বিতরণ করবে পাঁচটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বিতরণ করবে ২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংরে মধ্যে সবচেয়ে বেশি টার্গেট দেওয়া হয়েছে অগ্রণী ব্যাংকে, এ ব্যাংক বিতরণ করবে ৮৯০ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে জনতা ৮০০ কোটি, সোনালী ৫০০ কোটি, রূপালী ৩০০ কোটি, বেসিক ২৫০ কোটি এবং বিডিবিএল ৩০ কোটি টাকা বিতরণ করবে।
বিশেষায়িত ব্যাংকে ২৬০ কোটি টাকা বিতরণের টার্গেট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কৃষি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, রাকাব ৫০ কোটি টাকা, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ১০ কোটি টাকা বিতরণ করবে। দেশে বিদেশি ব্যাংক বিতরণ করবে ১৯৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে আলফালাহ ১০ কোটি টাকা, সিবি সিলন ৩০ কোটি, হাবিব ব্যাংক ২ কোটি, স্টান্ডার্ড চাটার্ট ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা, এসবিআই ২০ কোটি টাকা, সিটি ব্যাংক এনএ ৫ কোটি টাকা, এনবিপি ৫ কোটি টাকা, এইচএসবি ২০ কোটি টাকা এবং উরি ব্যাংক ৩ কোটি টাকা।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে দুই ভাগে বিতরণের টার্গেট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যেসব ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং পরিচালিত করছে তাদের টার্গেট ৫ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা, আর যারা ইসলামী ব্যাংক পরিচালিত করছে না সেসব ব্যাকের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা।
বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতরণ করবে ইসলামী ব্যাংক। বেসরকারি খাতের এ ব্যাংকটির টার্গেট দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক ১৪০০ কোটি টাকা, ইউসিবিএল ১১০০ কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংক ৯০০ কোটি টাকা, আল আরাফা ব্যাংক ৮৫০ কোটি টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংক ৮৫০ কোটি টাকা, শাহজালাল ব্যাংক ৬০০ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংক ৬০০ কোটি টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ৫৫০ কোটি, পূবালী ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক ৪৫০ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংক ৪০০ টাকা।
এছাড়া এবি ব্যাংক ২৪০ কোটি, বিসিবিএল ৫০ কোটি টাকা, বেঙ্গল ব্যাংক ২০ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়া ৩৫০ কোটি, ঢাকা ব্যাংক ২৪০ কোটি, ডিবিবিএল ৩৫০ কোটি টাকা, আইএফআইসি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক ২২০ কোটি টাকা, মেঘনা ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৩২০ কোটি টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংক ৬০ কোটি টাকা, মধুমতি ব্যাংক ৮০ কোটি টাকা, এমটিবিএল ২৬০ কোটি টাকা, এনসিসি ব্যাংক ৪১৫ কোটি টাকা, এনআরবি ব্যাংক ১২০ কোটি টাকা, এনআরবিসি ব্যাংক ১৭০ কোটি, ওয়ান ব্যাংক ২০০ কোটি, প্রাইম ব্যাংক ৩০০ কোটি, এসবিএসি ব্যাংক ২০০ কোটি, দি সিটি ব্যাংক ৪০০ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংক ২০০ কোটি, সীমান্ত ব্যাংক ১০ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ২৫ কোটি টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ৩০০ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংকে ৫০ কোটি টাকা, উত্তরা ব্যাংক ৬৫০ কোটি টাকার টার্গেট দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।