1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

বিএনপি হতে আসা অনুপ্রবেশকারী রোমান বাদশা নৌকার মাঝি

  • Update Time : বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১
  • ২৩৯ Time View

বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে বিএনপি থেকে আসা রোমান বাদশা নামে এক অনুপ্রবেশকারী আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকার প্রতীক পেয়েছেন। বুধবার দুপুরে তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের অনুপ্রবেশকারী রোমান বাদশাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে রোমান বাদশা বিএনপি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বিএনপির রাজনীতি করার এক পর্যায়ে আখানগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এক সময় বিএনপির সমর্থনে ইউপি নির্বাচন করেছেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদান করে দ্রুতই ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি বনে যান।

মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য তার এলাকা হতে ২শতাধিক মানুষকে নিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় আসেন। তারপূর্বে শহরে নৌকা মার্কার পক্ষে মিছির নিয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিন করেন।

২০১৯ সালে ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত ১৬০০ অনুপ্রবেশকারী তালিকায় ঠাকুরগাঁও জেলার দুই নাম্বারে তার নাম প্রকাশ হয়। ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করেন। এর পরেও এবার ইউপি নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই সেই ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ শুরু করেন।

এই বিষয়ে আখানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমির হোসেন জানান, রোমান বাদশা আখানগর ইউনিয়ন বিএনপির প্রভাবশালী সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সে সময় বিএনপির সমর্থনে দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন। একবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকায় রাজত্ব কায়েম করেছেন। কিন্তু হঠাৎ ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর রোমান আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এরপর ২০১৯ সালে কর্মীদের আপত্তির পরও তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বানানো হয়। এবার মনোনয়ন দেয়া হলো। যেখানে বরাবরই অনুপ্রবেশকারীদের মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে হাইকমান্ড সাবধানতা অবলম্বন করে। এবার কিভাবে তাকে নৌকা প্রতীক দেয়া হলো তা ঠিক আমার বোধগম্য নয়।

২০১৯ সালের আগে ৮ বছর যাবৎ সেই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে রেজাউল ইসলাম। তার বিদ্রোহী হয়েই ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এই রোমান বাদশা।

রেজাউল বলেন, আমি গতবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছি। রোমান বাদশা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। সে-ও তার লোকজন আমার বিপক্ষে নির্বাচন করায় আমি হেরে গেছি। চতুর্থ ধাপে আমাদের জেলায় নৌকা মার্কায় নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান ও গতবার হেরে যাওয়া প্রার্থীদের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তবে আমার ক্ষেত্রে কিভাবে ভিন্নতা আসল ঠিক বুঝলাম না। তিনি বলেন, গতবার কর্মীরা রোমানের বিপক্ষে কাজ করেছে, বিভিন্ন রকম ঝামেলায় জড়িয়েছে। এবার কিভাবে আবার তার নির্বাচন করা সম্ভব।

আখানগর আওয়ামী লীগের কর্মী খাদেমুল ইসলাম বলেন, অতীতে যারা দলের জন্যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তাদের মনোনয়ন না দিয়ে বিএনপি থেকে দলে আসা একজনকে মনোনয়ন দেয়ায় আমরা আশাহত হয়েছি।

এক সময় বিএনপির সঙ্গে রোমানের যুক্ত থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে আখানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর বলেন, রোমান বাদশা আর আমি একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। তিনি সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে আমি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

বিএনপি হতে আলীগে আসার কথা স্বীকার করে রোমান বাদশা বলেন, আমি একসময় বিএনপি করতাম। বিএনপির নীতি ভালো না লাগায় পরে আমি আওয়ামী লীগে এসেছি। গতবার আমি নির্বাচনে প্রার্থী হলেও জেলা ও উপজেলার নেতাদের চাপে নির্বাচন হতে সরে দাড়াই।

ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় বলেন, এটা বছর খানেক আগের ঘটনা নয়। সে অনেক আগেই বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে এসেছে। সে অনেক জনপ্রিয় একজন মানুষ এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় মনোনয়ন বোর্ডে পাঠানো তালিকায় তার নাম দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, রোমান বাদশা গত ১৫ নভেম্বর ঢাকায় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। দলীয় মনোনয়নপত্রে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ডের পর প্রার্থীর ভূমিকা, ২০০১ এর জাতীয় নির্বাচনের পরে বিএনপি জামাত জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে প্রার্থীর ভুমিকা এবং ১১ জানুয়ারী ২০০৭ এর পরবর্তী সময়ে প্রার্থীর ভূমিকা বিষয়ে প্রশ্ন থাকলেও সে বিষয়ে তিনি মতামত দেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..