দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ আফগানিস্তানে পারওয়ান প্রদেশের এক মসজিদে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। ওই মসজিদ হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। এর মাত্র একদিন আগে গত সোমবার গজনি প্রদেশে গাড়িবোমা হামলায় সাত গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিহত হয়েছিলেন।
পারওয়ান প্রদেশের পুলিশ প্রধান হারুন মুবারেজ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পারওয়ানের রাজধানী চারেকারের এক মসজিদে মাগরিবের নামাজ চলাকালে ওই হামলা চালানো হয়।রোজাদাররা ইফতার শেষে সবে নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা মসজিদের প্রবেশ করে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে শুরু করে। এতে কমপক্ষে সাত মুসল্লি নিহত এবং আরও ১২ জন আহত হয়েছেন।
এই হামলার পিছনে কারা রয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই মসজিদ হামলার জন্য তালেবানদের দায়ী করেছে। তবে তালেবানরা এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। উল্টো তালেবানেরা এর দায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর উপর চাপিয়েছে।
তালিবানদের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ‘খাম্মা প্রেস’-এর কাছে দাবি করেন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা মসজিদে ঢুকেই নিরীহদের গুলিতে ঝাঁঝরা করেছে। এদিনের ঘটনার সঙ্গে তালেবানদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই।
এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানেরই পশ্চিমাঞ্চলে এক মসজিদে জুমার নামাজের সময় চালানো বোমা হামলায় কমপক্ষে ৬২ জন নিহত হয়েছিলেন। আফগান সরকার ওই হামলার দায়ও তালেবানদের ওপর চাপিয়েছিল। তবে এক বছর আগে চালানো ওই হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
এদিকে আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে চালানো হামলার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তালেবান যোদ্ধাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে আফগানিস্তানে বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। দেশটির রাজধানী কাবুলে গত সপ্তাহে মেটার্নিটি বিভাগে চালানো হামলায় নবজাতক ও প্রসূতিসহ কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া ওইদিন এক জানাজা নামাজে হামলার ঘটনায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছিলেন।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন