দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ
ল্যাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার ভিলাভেসেন্সিও শহরের একটি কারাগারে আট শতাধিক কয়েদি ও জেলকর্মী মহামারি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। কারাগারটির পরিচালক এর জন্য ঠাসাঠাসি করে কয়েদি রাখার বিষয়টিকে দায়ী করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশটিতে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে বড় উৎসস্থল এখন ওই কারাগার। সরকারি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কারাগারটির ৮৫৯ জন কয়েদি ও কর্মী এখন মহামারি নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগে আক্রান্ত।
কারাগার পরিচালক মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল রদ্রিগেজ বলেন, ‘মাটিতে এমনকি বাথরুমে কয়েদিরা রাত্রী যাপন করেন। এমন পরিস্থিতিতে আমি কীভাবে তাদের আইসোলেশন করে রাখবো? যখন প্রাদুর্ভাব শুরু হয় তখন করাগারে ১ হাজার ৮৩৫ জন কয়েদি ছিল; যা ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি।’
ভিলাভেসেন্সিও শহর দেশটির মেটা প্রদেশে অবস্থিত। প্রাদেশিক পরিষদের এক ভার্চুয়াল অধিবেশনে অংশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি কারাগারে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর বিষয়টি জানানোর সময় এমন কথা বলেন। তার অভিযোগ, কলম্বিয়ার সরকারি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলেই নেয়নি।
রদ্রিগেজ বলেন, ‘সেখানে ওয়ার্কিং গ্রুপ ও সিকিউরিট কাউন্সিল এ নিয়ে প্রচুর বুদ্ধি দিচ্ছে। প্রচুর কাগজপত্র স্বাক্ষর করা হচ্ছে কিন্তু তাতে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। লাল ফিতার দৌরাত্ম আমাদের পঙ্গু করে দিচ্ছে। কারাগারের অভ্যন্তরে আমরা আপাতত যা করতে পারি তাই করছি।’
দুই সপ্তাহ আগে একদল কয়েদি কারাগারে একটি সুরঙ্গ বানিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের দমনে সক্ষম হয়। কারা পরিচালক বলেছেন, এখনও এখানে ১ হাজার ৭৫০ জন কয়েদি রয়েছে। আর ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ বন্দি থাকায় ভাইরাসের বিস্তার রোধের বিষয়টি আপাতত অসম্ভব।
কলম্বিয়ার কারা মহাপরিদর্শক লিসেট সার্ভেন্টেস বলেন, ওই কারাগারে একদল চিকিৎসক পাঠানো হয়েছিল কিন্তু প্রয়োজনীয় সুরক্ষাসামগ্রী না পাওয়ার কারণে তারা সেখান থেকে চলে আসেন। প্রসঙ্গত, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ১১ হাজার ৫০০ এর বেশি মানুষের মধ্যে ৪৭৯ জন মারা গেছেন।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন