আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও কানাডার পর এবার যুক্তরাষ্ট্রও নিজেদের আকাশসীমায় রুশ উড়োজাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘আমি ঘোষণা করছি যে, নিজেদের আকাশসীমায় রুশ উড়োজাহাজ চলাচলের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় রুশ বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হলো।’
‘(ইউক্রেনে হামলার জেরে) রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করা ও মস্কোর ওপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।
দীর্ঘ দুই মাস ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সেনা অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার ভাষণ সম্প্রচারের পরপরই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় এবং তড়িৎগতিতে ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পাশপাশি চতুর্দিক থেকে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী।
ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পরদিনই যুক্তরাজ্য নিজেদের আকাশসীমায় রুশ বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তারপর একে একে যুক্তরাজ্যকে অনুসরণ করে জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন ও পর্তুগালের মতো ইউরোপের অনেক দেশই।
তারপর ২৭ ফেব্রুয়ারি ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আকাশসীমায় রুশ বিমান নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন।
অবশ্য রাশিয়াও চুপচাপ বসে ছিল— এমন নয়। উরসুলা ভন ডার লিয়েন ইইউ আকাশসীমায় রুশ বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরদিনই যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যরাষ্ট্রগুলোসহ ৩৬ দেশের জন্য নিজেদের আকাশসীমা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রাশিয়া।
মস্কো এই পদক্ষেপ নেওয়ার একদিন পর মিত্রদের অনুসরণ করার ঘোষণা দিল ওয়াশিংটন।
সূত্র: রয়টার্স