ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব সহকারী তৌহিদুল ইসলামের বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে ৩দিন ধরে অনশন করছে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী। তবে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী তৌহিদুল সেদিন থেকেই বাড়ী থেকে চম্পট দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে ওই শিক্ষার্থী বিয়ের দাবীতে তৌহিদুলের বাড়ীতে অনশন অবস্থানে থাকলেও কোন সুরাহা না হওয়ার প্রতিবাদে। শনিবার উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা তৌহিদুলের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেন। এছাড়াও তারা তাদের সহপাঠীর সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়া পযর্ন্ত ক্লাস বর্জনের ঘোষনা দেয়। পরিশেষে শিক্ষার্থীর একটি প্রতিনিধিদল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরের নিকট একটি স্মারকলিপি দেন।
উল্লেখ্য, রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব সহকারী তৌহিদুলের সাথে আড়াই বছর ধরে প্রেম করে আসছিল। শুধু তাই ওই শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করে।
ওই শিক্ষার্থী আরো জানায়, তৌহিদুলের পরিবার আমাকে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি বের হয়নি। তৌহিদুলকে আমাকে বিয়ে করতে হবে নচেৎ আমি এ বাসা থেকে বের হবো না বলে তিনি জানান।
অপরদিকে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী তৌহিদুল ইসলামকে এখাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল রানা বলেন অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল গফুর বাদী হয়ে রাণীশংকৈল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে।