ওয়েব ডেস্ক: আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবন। ভবনের বেজমেন্টে ওঠা-নামার রাস্তা আটকে দেওয়ার ফলে ঝুঁকি আরও বেড়েছে। ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে ইটিআই-এর বেজমেন্ট-২ থেকে বের হওয়া সম্ভব হবে না।
সম্প্রতি আগস্ট মাসের মাসিক সমন্বয় সভার কার্যবিবরণী প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ কার্যবিবরণে ইটিআই মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান ভবনটি ঝুঁকিতে আছে বলে নির্বাচন কমিশন সচিবকে সতর্ক করেছেন। মাসিক সমন্বয় সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব, এনআইডি ডিজি, যুগ্ম-সচিব, সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মাঠ পর্যায়ের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গাড়ি ওঠা-নামার রাস্তা গ্লাসডোরে ব্লক
ইটিআই মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জান বলেন, ইটিআইতে জরুরি বহির্গমনসহ বেজমেন্ট-১ থেকে বেজমেন্ট-২ এ গাড়ি ওঠা-নামার রাস্তা গ্লাসডোর দ্বারা ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। যা ভবনের ফায়ার সিকিউরিটির জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমানে বেজমেন্ট-২ এ আসার জন্য লিফট ও এর পাশের সিঁড়ি ঘরের সামনে খুব অল্প জায়গা রেখে বাকিটা গ্লাস ডোর দিয়ে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। ফলে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনায় বেজমেন্ট-২ হতে বের হওয়া এবং ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম চালু করা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। এ অবস্থায় জরুরি বহির্গমনসহ বেজমেন্ট-১ থেকে বেজমেন্ট-২ এর গাড়ি ওঠানামার রাস্তার সামনের অংশ পর্যন্ত জায়গা ফাঁকা রেখে বাকিটা অফিস স্থাপনের কাজে ব্যবহার করলে ভবনের নিরাপত্তার পাশাপাশি বেজমেন্ট-২ এ স্থাপিত অফিসে যারা কাজ করবে তাদেরও কর্মপরিবেশ অনেকাংশে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বরাদ্দ থাকলেও জেনারেটরের ভাগ পায়নি ইটিআই, বিদ্যুৎ গেলে অন্ধকারে ডুবে থাকে ভবন
তিনি বলেন, বর্তমানে ইসিতে তিনটি বড় জেনারেটরের একটি নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের জন্য নির্ধারিত আছে। কিন্তু ইটিআই ভবনে জেনারেটরের সংযোগ না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে ভবনটি অন্ধকার হয়ে যায়। নির্বাচন ভবনের পাশাপাশি ইটিআই ভবন ও পাশের রাস্তাগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনাও প্রয়োজন।
জেনারেটর সংযোগ ও ঝুঁকির সমস্যা সমাধান করতে হবে
ইটিআই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত বিভাগ, আইডিয়া-২ প্রকল্পের পিডি, ইভিএম প্রকল্পে পিডি ও ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সমন্বয় করে সিকিউরিটি ঝুঁকির সমস্যার সমাধান করতে হবে। এছাড়া ইটিআই ভবনে জেনারেটর সংযোগ দিতে হবে। সেই সঙ্গে ইটিআই ভবনের চারপাশ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নিতে হবে। তবে সিসি ক্যামেরার রেকর্ডিং এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় আলাদা হবে।