ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে ঢাকা কলেজের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও আমরণ অনশনে বসেছিল। এ সময় পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের ছবি তোলার পর সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দিয়েছে। তবে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ বলছেন, অনশন কেন করেছে বা কী হয়েছে তিনি কিছুই জানেন না।
অনশন ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সাত কলেজের সমন্বয়কের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এসব দাবি নিয়ে তারা ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের সঙ্গে দেখা করেন। সে সময় তাদের ‘দাবি মানা হবে না’ বলে জানান অধ্যক্ষ। এরপর কলেজের দুই নম্বর গেটের সামনে ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান নেন। পরে পুলিশের বাধায় দুই নম্বর গেট থেকে সরে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে তারা অবস্থান নেন। এ সময় তাদের জানানো হয়, ঢাকা কলেজ ছাড়া অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করতে পারবেন না ৷ এতে ঢাকা কলেজের পল্লব ও হায়দার নামে দুই শিক্ষার্থী দাবি আদায়ে অনশনে বসেন। অন্যরা সে সময় তাদের পাশেই ছিলেন। তবে এরপর তাদেরও তুলে দেয় পুলিশ।
অনশনে বসা শিক্ষার্থী হায়দার বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় পুলিশ এসে আমাদের ছবি তুলে ও ব্যানার নিয়ে যায়৷ এরপর আমাদের উঠে যেতে বলে৷ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক এসেও আমাদের ছবি তোলেন এবং ডিপার্টমেন্টে নিয়ে যেতে চান৷ আমরা রাজি না হওয়ায় আমাদের জোরপূর্বক সেখান থেকে উঠিয়ে দেয়া হয়।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার ঢাকা কলেজে পরীক্ষা থাকায় সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে পুলিশ ছিল৷ এ ঘটনার পর কলেজের প্রধান ফটকের সামনে কয়েকজন পুলিশ সদস্য অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ও উঠিয়ে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স ম কাইয়ুম বলেন, ‘পরীক্ষা থাকার কারণে কলেজে আমাদের পুলিশ দায়িত্বে ছিল৷ কিছু শিক্ষার্থী ওখানে জমা হয়েছিল৷ পুলিশ তাদের সরে যেতে বললে তারা সেখান থেকে চলে যায়৷’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী দুপুরে আমার সঙ্গে দেখা করেছে৷ অনশন কেন করেছে বা বাইরে কী হয়েছে জানি না৷ এসব বিষয়ে আমাদের কোনো কর্তৃত্ব নেই৷’
শিক্ষার্থীরা যে তিন দফা দাবি জানিয়েছে সেগুলো হলো : ২০১৮-১৯ সেশনে যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের দ্রুত বিশেষ পরীক্ষা নেয়া। ৪ ঘণ্টার পরীক্ষা ২ ঘণ্টা নিলেও সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়নি। তাই সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা এবং সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করা।