1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

অবৈধ কয়লা পাচারে প্রধান সুবিধাভোগী ভাইপো, অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে দাবি বিজেপির

  • Update Time : রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৪০ Time View

তৃণমূল দলনেত্রীর পায়ের আঘাতের সত্যতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা :

ফের শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেক। পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন তুলে দিল বিজেপি নেতার বিস্ফোরক দাবি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি অভিযোগ করেন, ২০১২ সালের পর থেকে রাজ্যে গরু ও কয়লা পাচার বহুগুন বেড়ে গিয়েছে। আর তার প্রত্যক্ষ সুবিধে পেয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল দলনেত্রীর ভাইপো খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নানা অবৈধ চক্রের মাধ্যমে নাকি ৯০০ কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছে এক তৃণমূল নেতা এবং এক পুলিশ অফিসার। উল্লেখ্য, শনিবার কোচবিহারের দিনহাটায় যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে বলেছিলেন, ‘কয়লা থেকে বালি, পাথর, গরু— যাবতীয় পাচারের পেছনে রয়েছে তোলাবাজ ভাইপো।’ রবিবার আর রাখঢাক করেননি। সোজাসুজি বলেই দিয়েছেন কত টাকা অবৈধ ভাবে গিয়েছে তাঁর কাছে। এরই পাশাপাশি রায়দিঘিতে এক জনসভায় শাসক দলের দলনেত্রীর পায়ের আঘাত মিথ্যে বলে দাবি করে প্রমাণ চেয়ে চ্যালেঞ্জও জানিয়েছেন শুভেন্দু।

মঙ্গলবারই রাজ্য বিধানসভার তৃতীয় দফার ভোট। তার দু’দিন আগেই শুভেন্দুর এক বিস্ফোরক অভিযোগে বিপাকে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল। কারণ, বাংলার নির্বাচনে এবার বিজেপি অন্যতম ইস্যু করে তুলেছে কয়লা ও গরু পাচারকে। সেই সঙ্গে অভিষেককেই কাঠগড়ায় তুলেছে তারা। বিশেষ করে শুভেন্দু ধারাবাহিক ভাবে এই অভিযোগ করে চলেছেন। এই পাচারের তদন্তে সক্রিয় হয়েছে সিবিআইও। কিন্তু তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ এতদিন উড়িয়ে দেওয়াই হয়েছে। স্বয়ং অভিষেকও পাল্টা তোপ দেগে চলেছেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। তবে রবিবারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি কোনও মন্তব্য অন্তত এদিন করেননি। এবার শুভেন্দুর তোলা অভিযোগের কী জবাব দেন তিনি, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ গোটা ব্যাপারটাকে সাজানো চিত্রনাট্য বলে উল্লেখ করেছেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে আসা দীনেশ ত্রিবেদী ছাড়াও বিজেপির কেন্দ্রীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। ওই বৈঠকে তাঁরা একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে দেন। শুভেন্দু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু কথোপকথন সামনে এসেছে। কয়লা এবং গরু পাচারের প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ভাইপোকে পাইয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা বিনয় মিশ্র এবং তাঁর আত্মীয় তথা পুলিশ অফিসার অশোক মিশ্র।’

ওই অডিও ক্লিপে যে দু’জনের বক্তব্য শোনা গিয়েছে, বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, তাঁদের একজন কয়লা পাচার–কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ গণেশ বাগাড়িয়া এবং অপরজন এক সরকারি অফিসার। অডিও ক্লিপে পরিষ্কার ‘অভিষেক’–এর নাম নিতে শোনা গিয়েছে দু’জনকে। বিজেপির বক্তব্য, ওই অভিষেকই নাকি মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অডিও ক্লিপে যে সব কথা শোনা গিয়েছে, তাতে রয়েছে, বিভিন্ন অবৈধ সূত্রে টাকা পেয়েছেন অভিষেক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা, আগে নাকি কয়লা পাচারের ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা প্রতি মাসে অভিষেকের কাছে যেত। শেষ দুই বছরে তা বেড়ে মাসে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এই ব্যবসায় প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সুরক্ষা পেতে অনুপ মাঝির থেকে প্রতি মাসে এই টাকা নিয়ে অশোক মিশ্র দিতেন বিনয় মিশ্রকে। পরে বিনয় ওই টাকা থেকে নিজের কাটমানি নিয়ে বাকিটা দিতেন অভিষেককে। ২০১২–১৩ সাল থেকেই অভিষেকের হয়ে বিনয় টাকার লেনদেন করেছেন। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অভিষেকের প্রধান লোকই নাকি এই বিনয়। তবে দৈনিক প্রত্যয়ের তরফে এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করা হয়নি।

এ ছাড়া, এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে এক জনসভায় তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের আঘাত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে তিনি প্রমাণ দেখান। আর আপনাদের বলছি, সবাইকে এক্স রে প্লেট দেখাতে বলুন।’ রায়দিঘিতে এদিন তিনি বিজেপি প্রার্থী শান্তনু বাপুলির সমর্থনে জনসভা করেন। ওই জনসভায় তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘আমরা তার পা দেখতে চাই না। অথচ তিনি ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে প্রতিটি দিন জনসভায়, মিছিলে নিজের পা দেখিয়ে চলেছেন! আসলে তাঁর পায়ে কিছু হয়নি। আমি আপনাদের বলছি। তাঁকে বলুন এক্স রে প্লেটটা দেখাতে। আমি এই সভা থেকে চ্যালেঞ্জ করছি। বাংলায় কোনও চাকরি নেই, শিল্প নেই। তাই এ–সব মিথ্যে বলে তিনি মানুষকে ভোলাতে চাইছেন। আর কত মিথ্যে বলে তিনি মানুষকে টুপি পরাবেন? কেউ বিশ্বাস করে না তাঁর পায়ের গল্প।’

উল্লেখ্য, ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে পায়ে আঘাত পান মমতা। তাঁর অভিযোগ, তাঁর ওপর পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। তবে সেখানকার পুলিশি রিপোর্টে তেমন আক্রমণের উল্লেখ নেই। কিন্তু ওই ঘটনার পর সেখান থেকে সোজা কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন। ২ দিন ভর্তি ছিলেন। তার পর ১৩ মার্চ থেকে ফের প্রচারে নামেন তিনি।

আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে তিনমাসে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..