ভোলা প্রতিনিধি ঃ
ভোলা সদর উপজেলার ১নং রাজাপুর ইউনিয়নে জনতাবাজার এলাকাসহ পুরো ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিন চলে জমজমাট জুয়ার আসর, এতে ধ্বংসের পথে ছাত্র, তরুণ, যুবকসহ এলাকার যুব সমাজ।
তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, রাজাপুর ইউনিয়ন ভোলা সদর উপজেলার উত্তর প্রান্তে, রাজাপুরের পাশেই বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত, এই ইউনিয়নের কিছু প্রভাবশালী লোকের সাথে মেহেন্দিগঞ্জের অনেক অপরাধীর সাথে যোগাযোগ রয়েছে, সেখান থেকে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাই মাল পাচার করেন রাজাপুর ও মেহেন্দীগঞ্জের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া মাসকাটা নদী পারি দিয়ে, আর এ ধরনের অপরাধের সাথে যারা জড়িত, তারাই এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে জুয়ার আসর বসিয়ে বাণিজ্য করে যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদে স্থায়ী কোন চেয়ারম্যান নেই, মেম্বাররা যে যার মত, বিভিন্ন দল মত নিয়ে ব্যস্ত তাদের মধ্যে রয়েছে গ্রুপিংও।আর গ্রুপ থাকায় অপরাধীরা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন জুয়া, মাদক, চুরি, ইভটিজিংসহ নানা অপরাধ করতে।
কয়েকদিন পর পরই রাজাপুরের বিভিন্ন গ্রামের প্রবাসী, ব্যবসায়ীদের বাসায় চুরির খবর পাওয়া যায় আর এর সাথেই জড়িত এই জুয়ারীরা।
রাজাপুরের জুয়ারীদের নেতৃত্বে রয়েছেন ঐ ইউনিয়নের প্রভাবশালী তিনটি গ্রুপ, বর্তমান আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপ, বিএনপি জাতীয় পার্টি ও বিজেপির এক গ্রুপ।
জুয়ারীদের নেতৃত্বে একজন পুরুষ ইউপি সদস্য ও আরেকজন মহিলা ইউপি সদস্যের স্বামী ও জড়িত বলে জানা গেছে।
আর এদের ছত্রছায়ায় জুয়ার আসর বসান ইয়াছিন ভুইয়ার ছেলে আবদুর রহমান, জলিল চকিদারের ছেলে মোক্তার, রাশেদ, জিলন,হাসিম দালালের ছেলে পারভেজ, তারেক, ইকবাল,বাবুলসহ রাজাপুর জুনিয়র বাহিনী নামে পরিচিতো এই গ্রুপের সদস্যরা।
রাজাপুর ইউনিয়নের সাময়িক বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খাঁন বলেন, জুয়া মাদকমুক্ত ইউনিয়ন আমি ঘোষনা করেছি আরো আগেই, এর পর রাজাপুনরে জুয়া ও মাদক ছিলো না তবে এখন আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করার পরে আবার একটি গ্রুপ জুয়া খেলা শুরু করেছে শুনেছি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি প্রশাসন কে অনুরোধ করবো।
রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল হক মিঠু চৌধুরীর বক্তব্য নেওয়ার জন্য বেশ কয়েক বার ফোন দিলে রিছিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রাজাপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন কে ও ফোন দিলে রিছিভ করেন নি।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শ্রী রতন শীল জানান, জুয়া খেলে এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, আমি ফেসবুকে জুয়ার আসরের চিত্র দেখেছি শনাক্ত করে জুয়ারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোলার গোয়েন্দা পুলিশের ওসি (ডিবি) শহিদুল ইসলাম জানান, আমি ও রাজাপুরের জুয়া খেলার কথা শুনেছি, খেলা বসলে কেউ জানালেই প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।