নিজস্ব প্রতিবেদক: আটজন সংসদ সদস্য এবং সংসদ সচিবালয়ের ৪৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ঝুঁকি ও আতঙ্কের মধ্যেই আজ বুধবার শুরু হচ্ছে চলতি সংসদের দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশন। বিকাল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। অধিবেশনকে সামনে রেখে স্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করা হয়েছে। প্রবীণ ও অসুস্থ এমপিদের অধিবেশনে না আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রোস্টার অনুযায়ী কবে কোন এমপি সংসদে যোগ দেবেন তা এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অধিবেশন চলাকালে কক্ষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায়ও বড় ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সাময়িকভাবে আসন বিন্যাসেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আশপাশের বেশ কয়েকটি আসন ফাঁকা রাখা হবে। এক্ষেত্রে সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীকে আরও এক সারি পেছনে এবং প্রধানমন্ত্রীর ডান পাশের আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরীসহ অন্যদের আরও কয়েক আসন দূরে বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঠিক পাশেই সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর আসন। কিন্তু বয়স বিবেচনায় তিনি অধিবেশনে যোগ দেবেন না।
অন্যদের আসনও ফাঁকা রেখে বিন্যাস করা হয়েছে। সংসদে যোগদানকারী সংসদ সদস্যদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। প্রত্যেকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া টানেলের ভেতরে স্থাপন করা জীবাণুমুক্তকরণ চেম্বারের ভেতর দিয়ে সকলকে প্রবেশ করতে হবে। আসন বিন্যাস এবং তালিকা করে সংসদ সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়ে চিফ হুইপের নেতৃত্বে হুইপরা একাধিক দফা বৈঠক করে কোন দিন কোন কোন সদস্য অংশ নেবেন, তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সদস্যদের এসএমএস করে যার যার শিডিউল জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, করোনা সতর্কতার অংশ হিসেবে সংসদের বাজেট অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করার কথা জানানো হয়েছে। প্রথম দিনে অধ্যাদেশ উত্থাপন ও শোক প্রস্তাব গ্রহণের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শেষ হবে। রেওয়াজ অনুযায়ী চলতি সংসদের সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষে অধিবেশন মুলতবি করা হবে। পরদিন ১১ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করবেন। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর মাত্র ৫ দিন আলোচনা হবে। আর পুরো বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় ব্যয় হবে ১০ দিন। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা বাজেট আলোচনা হতে পারে। গত বছর বাজেটের ওপর প্রায় ৬০ ঘণ্টা সাধারণ আলোচনা হয়েছিল। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এই আলোচনা চলবে। আগামী ২৯ জুন অর্থবিল ও ৩০ জুন মূল বাজেট পাস হবে। মাত্র ১২ কার্যদিবসে আগামী ৯ জুলাই শেষ হতে পারে দেশের ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম বাজেট অধিবেশন।