1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ইউরোপ সীমান্তে অবৈধ পুশব্যাকের ফলে ২ হাজারেরও বেশি প্রাণহানি: গার্ডিয়ান

  • Update Time : শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১
  • ৬৮৪ Time View
ক্রোয়েশিয়ান সীমান্তের নিকটবর্তী বসনিয়ার ক্রাজিনা অঞ্চলে অবস্থিত শরনার্থী শিবির থেকে পালিয়ে আসা কিছু শরনার্থী। ছবিঃ Picture-alliance

প্রত্যয় ওয়েব ডেস্ক : বুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে আশ্রয়প্রার্থী অন্তত ৪০ হাজার মানুষকে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছে বা ঢুকতে দেয়া হয়নি। এসব অভিযানে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

৫ই মে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে গার্ডিয়ান জানায়, সদস্য দেশ এবং সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা (ফ্রন্টেক্স) এজেন্সি দ্বারা অবৈধ পুশব্যাকের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর সীমান্তে দুই হাজারেরও বেশি আশ্রয়প্রার্থী মারা গেছেন।

বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও এনজিওর প্রতিবেদন এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে গার্ডিয়ান এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

২০২০ সালে, প্রায় এক লাখ মানুষ সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছেছিল৷ সমুদ্র এবং স্থল উভয় সীমান্তে অবৈধভাবে পুশ-ব্যাকের ঘটনা বেড়েছে।

“২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ইটালি, মাল্টা, গ্রিস, ক্রোয়েশিয়া এবং স্পেন তাদের অভিবাসন নীতি কঠোর করেছে। করোনা মহামারী রোধে আংশিক বা সম্পূর্ণ সীমান্ত বন্ধের নিয়ম বাস্তবায়নের পর থেকে এই দেশগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সদস্য দেশগুলিকে অর্থ দিয়েছে। এছাড়া বেসরকারি জাহাজ প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে সমুদ্রে আশ্রয়প্রার্থীদের পুশব্যাক কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান ।

https://www.facebook.com/dailyprottoy

সবচেয়ে বেশি সমালোচিত সীমান্তের মধ্যে রয়েছে বসনিয়া, হার্ৎসেগোভিনা এবং ক্রোয়েশিয়ার সীমান্ত। মঙ্গলবার বর্ডার ভায়োলেন্স মনিটরিং নেটওয়ার্কের (বিভিএমএন) একটি নতুন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বলকান অঞ্চলে অবৈধ, অপরাধমূলক এবং মানবাধিকার লংঘনের ৯০% ঘটনা ক্রোয়েশিয়ার সীমান্তে ঘটেছে। সমন্বয়কৃত সংগৃহীত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় এসব ঘটনা ১৯% বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিভিএমএনের তথ্যের ভিত্তিতে এই ব্রিটিশ মিডিয়া আরো জানায়, “গ্রিসে পুশব্যাকের ঘটনা অসংখ্য। ২০২০ সালের জানুয়ারির পর থেকে গ্রিস তার সীমান্তে প্রায় ৬ হাজার ২৩০ জন আশ্রয়প্রার্থীকে ফিরিয়ে দিয়েছে”।

লিবিয়ায় প্রত্যাবর্তন

পুশব্যাকের বেশিরভাগ ঘটনা সাধারণত ভূমধ্যসাগরে হয়ে থাকে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গার্ডিয়ান জানিয়েছে , অন্তত ১৫ হাজার ৫০০ শরণার্থী সমুদ্রে আটকা পড়েছিলো। ইইউর সহায়তায় পরিচালিত লিবিয়ার কোস্টগার্ড তাদেরকে আবার ত্রিপোলিতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় ।

ইটালি ও লিবিয়ার বিরুদ্ধে ভূমধ্যসাগরে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়া এবং তাদের ব্যবহৃত নৌকাগুলোর বিরুদ্ধে উদ্ধার অভিযানে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে। এপ্রিল মাসে প্রকাশিত অ্যালার্ম ফোন প্ল্যাটফর্মের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এ দুটি দেশ বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার অভিযানে সাহায্যের আহ্বান উপেক্ষা করেছে যার ফরে একটি ঘটনায় অন্তত ১৩০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

এছাড়া ইউরোপের দ্বীপ রাষ্ট্র মাল্টার বিরুদ্ধেও ভূমধ্যসাগরে পুশব্যাকের অভিযোগ উঠেছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর একটি প্রতিবেদনে, এই দ্বীপ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের নৌকাগুলোকে সমুদ্রে অবৈধ পুশব্যাকের “অবৈধ কৌশল” প্রয়োগের এর নিন্দা করা হয়।

সুত্র :ইনফো মাইগ্রেন্টস বাংলা

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..