দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণিজন। একের পর এক রচনা করেছেন এবং করছেন ইতিহাসের পাতা। উন্মোচিত হয়েছে জগতের নতুন নতুন দিগন্ত। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সেই ইতিহাস চিন্তা, চেতনা ও প্রেরণার উৎস। যারা জন্মেছিলেন কিংবা চলে গেছেন আজকের এই দিনে। আবার বহু ঘটনাই রয়েছে ফেলে আসা সময়ের পথে। যেসব ঘটনা এনেছিল প্রশান্তি কিংবা রচনা করেছে অনাকাঙ্ক্ষিত দুঃস্বপ্নে নীলকাব্য। যা ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনেই।
আসুন জেনে নেয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা-
ঘটনাবলি:
৬২১ – হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কাছে আকাবায় মদিনাবাসীর প্রথম শপথ অনুষ্ঠিত হয়।
৭৫০ – খলিফা দ্বিতীয় মারওয়ান নিহত হওয়ার মধ্যদিয়ে উমাইয়া বংশের খেলাফতের অবসান।
৭৮৮ – মরক্কোতে ইদ্রিসী রাষ্ট্র গঠিত।
১৫৭৬ – হুসাইন কুলি খান বাংলার শাসক নিযুক্ত হন।
১৮২৩ – ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৩২ – সতীদাহ প্রথা বিলোপের বিরুদ্ধে ভারতের গোঁড়া হিন্দুদের আবেদন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নাকচ হয়ে যায়।
১৮৭৮ – ব্রিটেন সাইপ্রাস দখল করে।
১৮৮২ – ব্রিটিশ নৌবহর থেকে আলেকজান্দ্রিয়ায় বোমা বর্ষণ করা হয়।
১৮৮৯ – অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯১৯ – নেদারল্যান্ডে ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস ও রোববার ছুটি, আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২১ – মঙ্গোলিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৩০ – অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৪১ – মস্কোতে ইঙ্গ-রুশ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৬০ – পাশ্চাত্যের বিভেদ ও শাসন করার নীতির ফসল হিসেবে কঙ্গোয় দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৬০ – জায়ারের কাতাঙ্গা প্রদেশের স্বাধীনতার চেষ্টা চালানো হয়।
১৯৬২ – টেলস্টার উপগ্রহের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফ্রান্সে টিভি সম্প্রচার শুরু হয়।
১৯৭৯ – আমেরিকার প্রথম স্পেস স্টেশন ‘স্কাইল্যাব’ ভারত মহাসাগরে ভেঙ্গে পড়ে।
১৯৮২ – বিশ্বকাপ ফুটবলে পশ্চিম জার্মানিকে পরাজিত করে ইতালির তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়নশিপ লাভ করে।
১৯৯০ – বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাসের খনি আবিস্কৃত হয়।
১৯৯১ – জেদ্দায় ফিরতি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২৬৬ হাজী নিহত হয়।
১৯৯৫ – ৮ হাজারেরও বেশী বসনীয় মুসলমান সেব্রেনিৎসা শহরে সার্ব চরমপন্থীদের হাতে নিহত হয়।
১৯৯৮ – বিশ্বকাপ ফুটবলে ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন হয়।
২০০০ – নাইজেরিয়ায় গ্যাসোলিন পাইপ বিস্ফোরিত হয়ে ২০০ নিহত হয়।
২০০২ – চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে ৮ ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়।
২০০৬ – ভারতের মুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা হামলায় ২০৯ জন নিহত হয়।
২০১১ – ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে মিরসরাইয়ের আবুতোরাব বড়তাকিয়া সড়কে সংঘটিত স্মরণকালের ভয়াবহ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় চিরতরে হারিয়ে যায় ৪৫টি তাজা প্রাণ।
জন্ম:
১২৭৪ – রবার্ট ব্রুস, তিনি ছিলেন স্কটল্যান্ডের রাজা।
১৫৫৮ – রবার্ট গ্রীনে, তিনি ছিলেন ইংরেজ লেখক ও নাট্যকার।
১৭৩২ – ঝসেফ লালাদঁর, তিনি ছিলেন ফরাসি জ্যোতির্বিদ।
১৭৬৭ – জন কুইন্সি এডাম্স, তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি।
১৯১৬ – আলেক্সান্দ্র মিখাইলোভিচ প্রখরভ, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত রাশিয়ান পদার্থবিদ।
১৯২৭ – থিওডর মেইম্যান, তিনি ছিলেন লেজার রশ্মির উদ্ভাবক মার্কিন বিজ্ঞানী।
১৯২৯ – ডেভিড কেলি, তিনি ছিলেন আইরিশ অভিনেতা।
১৯৩৬ – আল মাহমুদ, তিনি বাংলাদেশ প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক।
১৯৫৬ – রবিন রেনুচি, তিনি ফরাসি অভিনেতা ও পরিচালক।
১৯৬৩ – লিসা রিনা, তিনি আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৬৬ – নাদিম আসলাম, তিনি পাকিস্তানের ইংরেজ লেখক।
১৯৭২ – মাইকেল রসেনবাউম, তিনি আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক।
১৯৭৫ – লিল কিম, তিনি আমেরিকান র্যা পার ও অভিনেত্রী।
১৯৮৬ – ইয়য়ান গউরকুফ্, তিনি ফরাসি ফুটবল।
মৃত্যু:
১৭৬৭ – জন কুইন্সি এডামস, তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি।
১৯০৫ – মোহাম্মদ আবদুহ, তিনি ছিলেন মিশরীয় আইনজ্ঞ ও পণ্ডিত।
১৯৩৭ – জর্জ গেরশ্বিন, তিনি ছিলেন আমেরিকান পিয়ানোবাদক ও সুরকার।
১৯৫৭ – তৃতীয় আগা খান, তিনি ছিলেন ইসমাইলি সম্প্রদায়ের নেতা।
১৯৭৪ – পার ফাবিয়ান লাগেরকভিস্ট, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ লেখক, কবি ও নাট্যকার।
১৯৮৩ – রস ম্যাকডোনাল্ড, তিনি ছিলেন আমেরিকান বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান লেখক।
১৯৮৯ – লরেন্স অলিভিয়ার, তিনি ছিলেন ব্রিটিশ মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা।
২০০৫ – ফ্রান্সেস লাংফরড, আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়িকা।
২০১৩ – এগবেরট ব্রিস্কেরন, তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ।
দিবস:
আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। প্রতি বছর রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ পালিত হয়। জনসংখ্যাকে সম্পদ বলা হলেও অতিরিক্ত জনসংখ্যা সম্পদ নয়, বরং বোঝা। অপুষ্টি, অপর্যাপ্ত শিক্ষার সুযোগ, বেকারত্ব, চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতা ইত্যাদি সমস্যার মূলে রয়েছে অতিরিক্ত জনসংখ্যা। তাই মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন