পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (অপারেশন্স) সাঈদ তারিকুল হাসান, বিপিএম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার বিকেলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।
তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এক শোকবার্তায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবাণীতে আইজিপি বলেন, সাঈদ তারিকুল হাসান একজন দক্ষ, প্রতিভাবান ও সম্ভাবনাময় পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ পুলিশ একজন যোগ্য ও আদর্শ কর্মকর্তাকে হারালো।
আইজিপি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এআইজি সাঈদ বান্দরবানে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। তাকে তাৎক্ষণিক হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী আজুবা সুলতানা, দুই কন্যা তাসনিয়া আনজুম ও ওয়াদিয়া আরওয়া, এক ভাই, এক বোনসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এআইজি সাঈদ তারিকুল ১৯৭৫ সালের ২৭ নভেম্বর দিনাজপুর সদর থানাধীন মুদিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মরহুম আমিনুল ইসলাম এবং মাতা মোর্শেদা খাতুন।
তিনি ২০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। কর্মজীবনে তিনি রাঙ্গামাটি জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্লানিং, ইউএন অ্যাফেয়ার্স, কমিউনিটি পুলিশিং এবং সর্বশেষ অপারেশন্স উইংয়ের এআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এআইজি সাঈদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি বিভাগে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পেশাগত কৃতিত্ব ও দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বিপিএম পদকে ভূষিত হন। চারবার আইজিপি ব্যাজ পেয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে তার আকস্মিক মৃত্যু সংবাদ পৌঁছালে পুলিশ কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।