1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

এএসপি শিপন হত্যা : প্রতিবেদন ১২ এপ্রিল

  • Update Time : বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১
  • ২৩১ Time View

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১০ মার্চ) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম নতুন এ দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আনিসুল করিম শিপন তার আত্মীয় ও স্বজনকে নিয়ে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। হাসপাতালে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর আদাবর থানায় আনিসুল করিম শিপনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- মো. সাখাওয়াত হোসেন ও সাজ্জাদ আমিন।

এ মামলার আসামি মাইন্ড এইড হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, পরিচালক ফাতেমা খাতুন ময়না, মুহাম্মাদ নিয়াজ মার্শেদ, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন সেফ মো. মাসুদ, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান, ওয়ার্ড বয় মো. তানিম মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, মো. লিটন আহাম্মদ, মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ কারাগারে আছেন।

অন্যদিকে মামলায় একমাত্র আসামি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিনে আছেন। এদিকে এ মামলায় আসামি কিচেন সেফ মাসুদ খান, ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল, মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, সজিব চৌধুরী, হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান ও ওয়ার্ড বয় মো. তানিম মোল্লা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়, মো. আনিসুল করিমকে চিকিৎসার জন্য গত ৯ নভেম্বর দুপুরে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেলা পৌনে ১২টার দিকে আরিফ মাহমুদ জয় আনিসুলকে ওয়াশরুমে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতালের দোতলায় নিয়ে যান। তখন তার বোন কথা বলতে চাইলে আসামি আরিফ মাহমুদ জয় ও রেদোয়ান সাব্বির বাধা দেয় এবং কলাপসিবল গেট আটকে দেন। এরপর এজাহারে উল্লেখিতসহ আরও অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মো. আনিসুল করিমকে চিকিৎসার নামে দোতলার একটি অবজারভেশন রুমে (বিশেষভাবে তৈরী কক্ষ) নিয়ে যান।

আসামিরা এএসপি আনিসুলকে রুমের ফ্লোরে জোরপূর্বক উপুড় করে শুইয়ে ৩/৪ জন হাঁটু দ্বারা পিঠের উপর চেপে বসেন। এ সময় কয়েকজন তাকে পিঠ মোড়া করে ওড়না দিয়ে দুই হাত বাঁধেন। কয়েকজন আসামি কনুই দিয়ে আনিসুলের ঘাড়ের পেছনে ও মাথায় আঘাত করেন। একজন মাথার উপরে চেপে বসেন এবং আসামিরা সবাই মিলে তার পিঠ, ঘাড় সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কিল ঘুষি মেরে আঘাত করেন। এরপর বেলা ১২টার দিকে আনিসুল নিস্তেজ হয়ে পড়েন। যা হাসপাতালে স্থাপিত সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দৃশ্যমান। নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার পর আসামি আরিফ মাহমুদ জয় নিচে এসে পরিবারের সদস্যদের ইশারায় উপরে যাওয়ার জন্য ডাক দেন। এরপর তার বাবা, ভাই ও বোন অবজারভেশন রুমে গিয়ে আনিসুলকে ফ্লোরে নিস্তেজ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। অতঃপর তাকে জরুরি ভিত্তিতে একটি প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে করে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে এএসপি আনিসুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..