প্রত্যয় ডেস্ক রিপোর্ট : শুধুমাত্র ভাল ফলাফলই এখন চাকরি পাবার মূল বিবেচ্য বিষয় নয়। একজন নিয়োগকর্তা একটি জীবনবৃত্তান্ত বাছাই করতে গড়ে ৩০ সেকেন্ডের বেশী সময় দেন না ৷ সুতরাং এটি হতে হবে সংক্ষিপ্ত, তথ্যবহুল এবং আকর্ষণীয়।
নিয়োগকর্তাদের পছন্দের তালিকায় প্রাথমিকভাবে উঠে আসতে একটি ভাল জীবনবৃত্তান্তের বিকল্প নেই। এখনকার প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে চাকরি পাওয়ার পূর্বশর্তগুলো বেশ বদলে গেছে। তার জন্য চাই আরও কিছু বাড়তি যোগ্যতা।
ঠিক কী কী যোগ্যতা থাকলে নিয়োগকর্তারা সাক্ষাৎকারে ডাকবেন সেটা বুঝতে পারা এবং জীবনবৃত্তান্তে সেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা
আপনার সাথে অন্য প্রতিযোগীদের পার্থক্য তৈরি করে দিতে পারে।
আসুন জেনে নিই একটি ভাল জীবনবৃত্তান্তে কি কি জিনিস অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিতঃ-
সিভি ফরমেটঃ ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছেঃ- ” First impression is the last impression!” আপনি কখনই First impression টি দ্বিতীয়বার তৈরি করতে পারবেন না। সিভি ফরম্যাটিং সুন্দর না হলে প্রথম দেখাতেই আপনার সিভি রিজেক্ট হয়ে যেতে পারে।
তাই সিভি ফরম্যাটিং করার ক্ষেত্রে খুবই যত্নশীল এবং মনযোগী হতে হবে। একটি প্রফেশনাল সিভি আপনার ইন্টারভিউয়ে নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
গ্রামার এবং বানান ভুলঃ প্রফেশনাল সিভি তৈরির ক্ষেত্রে গ্রামার এবং বানান ভুল কোনভাবেই কাম্য নয়। এক্ষেত্রে লেখালেখিতে দক্ষ কারো সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
পেশাগত যোগ্যতাঃ মাত্রাতিরিক্ত চাকরি প্রার্থী হবার কারণে নিয়োগকর্তাগন প্রাথীদের পেশাগত দক্ষতা বেশি বিবেচনা করে থাকেন। একটি ভাল সিভিতে আপনার পেশাগত দক্ষতাগুলো বেশি ফোকাস করতে হবে। কিছু পেশাগত দক্ষতা নিম্নরূপঃ
১। পেশা বিষয়ক পূর্ণ জ্ঞান
২। পেশাদারিত্ব, ভাষা এবং যোগাযোগ দক্ষতা
৩। সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা
৪। দ্রুত নতুন বিষয় শিখার সামর্থ্য
৫। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা
৬। কাজের চাপ মোকাবেলা করার সামর্থ্য
৭। নতুন পরিবেশে মানিয়ে চলার দক্ষতা
পূর্বকাজের অভিজ্ঞতাঃ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পূর্ববর্তী যে কোন কাজের অভিজ্ঞতা আপনার সিভির গুরুত্ব বাড়িয়ে তুলে। তবে অপ্রয়োজনীয়, অসামঞ্জস্যপূর্ণ বা মিথ্যা অভিজ্ঞতা কোনভাবেই যোগ করা উচিত নয়। এটি চাকরি পাবার সুযোগ চিরতরে শেষ করে দিতে পারে।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ সদ্য পাশ করা এবং কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব ভালভাবে ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করুন।
রেফারেন্সঃ বাংলাদেশে চাকরিবাজারে একটি ভাল রেফারেন্স খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সিভিতে রেফারেন্সগুলো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে ভাল সিভি ডিজাইনের বিকল্প নেই।
উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে সিভি ডিজাইন করলে চাকরি ইন্টারভিউয়ে নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বাংলাদেশের চাকরিপ্রার্থীদের একটা বড় অংশ সিভি লেখার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। আপনার প্রফেশনাল সিভি তৈরিতে কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা প্রফেশনাল সিভি রাইটিং সার্ভিস দিয়ে থাকি।
Contact: https://m.me/cvwriterbangladesh/
Original Post: https://facebook.com/cvwriterbangladesh/posts/108980130838563