প্রত্যয় ডেস্ক: ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ধর্ষণের পর নিহত দলিত তরুণীর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেছেন, দেখি কে আটকায়! দলিত তরুণী আমাদের কন্যা। দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করে রাতের অন্ধকারে তার দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হলো। কোনো বিচার হলো না। আমার মন পড়ে আছে ওই গ্রামে। মনে হচ্ছে এখনই ছুটে সেখানে চলে যাই।
তিনি আরো বলেন, এত দিন পরে ওই গ্রামে মিডিয়ার লোকজনদের যেতে দেওয়া হচ্ছে। নেতারা যাচ্ছেন। আগে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না কেন? যোগির রাজ্যে সন্ত্রাস, খুন বেড়েই চলেছে। বিজেপি হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্যানডেমিক। চরম স্বৈরতান্ত্রিক। গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। মমতা আরো বলেন, বিজেপি লজ্জা, লজ্জা! আমরা আর বিজেপিকে চাই না। উত্তরপ্রদেশে যোগির সরকারকে আর চাই না।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার তৃণমূল সংসদ সদস্যদের এক প্রতিনিধিদল দলিত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যায়। গ্রামে পৌঁছানোর এক কিলোমিটার আগে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। কোনো সৌজন্য দেখানো হয়নি। নারী সংসদ সদস্যদের মারা হয়। কোন দেশে আছি আমরা! তিনি আরো বলেন, মানুষ বিপদে পড়লে আমি তাদের পাশে আছি। সে যে ধর্মের, যে বর্ণেরই হোক। দলিতদের সামনে এখন বড় বিপদ। তাই এখন আমি দলিত।
মিছিলে প্রত্যেকের হাতেই ছিল একটি করে টর্চ। টর্চ জ্বালিয়ে মমতা বলেন, দলিত মেয়েরা ও মায়েরা এখন অন্ধকারে। তাদের আলোয় ফেরাতে আমি আজ এই টর্চ এনেছি। তিনি বলেন, আমি বিজেপির বন্দুককে ভয় পাই না। ওদের গুন্ডা বাহিনীকে আমি তোয়াক্কা করি না। কোনো অপরাধ হলে তার বিচার হয়। এখানে কোনো বিচার হলো না। মেয়েটাকে দহন করে দিল। যারা বিপদে পড়বেন, তাদের পাশে আমি আছি। হাথরসের ঘটনার বিচার চাই।