কক্সবাজার সংবাদাতা:কক্সবাজার জেলার উখিয়া টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে অপরাধ প্রবণতা দিন দিন মাত্রারিক্ত হারে বেড়েই চলছে।কক্সবাজার জেলার দুই থানার উখিয়া ও টেকনাফের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প তথা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হয়োয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অপরাধ পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে না। এরই ধারাবাহিকতায় অপরাধি চক্র বিভিন্ন উপায়ে জেলার দক্ষিণ পূর্ব উখিয়া, টেকনাফ থানাকে মাদকদ্রব্য সহ নানা ধরনের অপরাধের নিরাপদ জোন হিসেবে বেছে নিয়েছে।
২০১৭ সাল থেকে উখিয়া, টেকনাফে মাত্রারিক্ত হারে ইয়াবা চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই উখিয়া, টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলো সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় মাদকদ্রব্য ব্যাবসার জন্য স্বর্গ ভূমি। সাম্প্রতিক সময়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলো প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীচক্রদের শায়েস্তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ইয়াবার চালান ও পাচারের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এ রোহিঙ্গা ক্যাম্প সমূহ। এখানে রয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট এসব অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত। গত ২৪ আগষ্ট সোমবার কক্সবাজার র্যাব-১৫ সাগরে অভিযান চালিয়ে ১৩ লক্ষ ইয়াবা সহ দুইজন রোহিঙ্গা নাগরিককে হাতে নাতে আটক করার ঘটনায় প্রমাণিত হয়, রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে মিয়ানমারের তৈরি ইয়াবা এদেশের বিভিন্ন স্থানে অভিনব কায়দায় পাচার হচ্ছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড সনাক্ত ও গ্রেপ্তার পূর্বক প্রায় ৩ শতাধিক মামলা করেছে বলে সংশ্লিষ্ট আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানা গেছে। আর এসব মামলার মধ্যে রয়েছে খুন, ডাকাতি, মাদক ও মানবপাচার, ধর্ষন, অপহরণ, অস্ত্র ও জঙ্গি তৎপরতা ও সহিংষতা।কক্সবাজার জেলা র্যাব ১৫ এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্ণেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ আগষ্ট সোমবার বিকাল ৫ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজর মাঝিরঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি মাছ ধরার বোটসহ ১৩ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে। এসময় আটক করা হয় মোঃ বিল্লাহ (৪৫) ও মোঃ আয়াছ (৩৮) সহ দুইজন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপারেশনস অফিসার এটিকে ইয়াবা পাচারের সবচেয়ে বড় চালান বলে আখ্যায়িত করেছেন।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও মানবপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধ বেড়েছে। ফলে চলতি বছরে ২০ জানুয়ারি থেকে ২০ জুন পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৯ ইয়াবা ও ১৮৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে শুধু ক্যাম্প থেকে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৭৪২ ইয়াবাসহ ৬৫ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেন।