ফাঁসি
-তন্ময় দত্ত মিশু
আকাশটাকে নিজের হাতের মুঠোয়,
ধরে রাখতে চেয়েছিলাম আমি।
না জানি কেমন করে ফসকে গেল,
দূরে কোথায় হারিয়ে গেল।
একাকী দাঁড়িয়ে রইলাম আমি,
বাঁধন হারা স্বপ্নগুলো যেন পালিয়ে বাঁচল।
সমাজের সুউচ্চ স্থানে বসে বিচার করা সহজ,
হুট হাট যা তা বলে দেওয়া সহজ।
আকাশ কালো হয়ে এলে,
বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখাও সহজ।
আমার এ সমাজে শক্তি যার, সত্যও যে তার।
পিট চাপড়ে কেউ বলে না এখানে,
জীবনটাকে রাখতে হাতের মুঠোয় ধরে।
সবাই ব্যাস্ত, বিভীষিকাময় অনুকরণে,
সদ্য ফোঁটা ফুলের গন্ধ এখানে কেউ ভালোবাসে না।
দাঁড়িয়ে থেকে ঘর্মাক্ত দেহে,
সদা উজ্জ্বল আকাশ, দেখতে যে কেউ চায় না।
সময়গুলো হারিয়ে যাচ্ছে,
বাঁধভেঙ্গে বেরিয়ে যাচ্ছে।
যার সাথে ছিল অাত্মার সম্পর্ক,
সেও তো দিব্যি ভুলে, ভালোই আছে।
কাকেই বা দোষ দেব;
নিজেই যে দোষি, নিজের দোষে।
দোষ ছিল আমার,
সমাজের এই বাস্তবতা থেকে পালিয়ে যাওয়া।
কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে,
দূর দেশে পাড়ি দেওয়া।
স্বপ্নগুলো নিয়ে একান্তে বাঁচার চেষ্টা,
সব ধূলিসাৎ হয়ে গেল।
ধরে আনা হলো আমায়,
চারিদিকে সব বিশ্রিরকম হাসি;
মাঝে দাঁড়িয়ে আমি,
হাতে বাঁধা দড়ি, মুখে বাঁধা কাপড়।
আমার দুপাশে দাড়িয়ে দুই সুঠান মানুষ,
রেখেছে শক্ত করে ধরে আমায়,
যেন না পারি পালাতে।
এ বিচারালয়ে বলির পাঠা আজ আমি,
শুনিয়ে দিল বড় সাহেব সন্তর্পণে,
ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি।