পরিস্তিতি
মহামারীর প্রভাব বেড়েই চলেছে
জোগাড় হয় না দুমুঠো খাবার।
দিকে দিকে শুধু কান্নার আওয়াজ,
বেড়েই চলেছে অভাব অনাহার।
কলকারখানা সবই বন্দ,
কি জানি কবে খুলবে তালা।
মানুষ কতোদিন এভাবে বাঁচবে,
কিভাবে মিটাবে খিদের জালা।
অভাবের তাড়নায় কাঁদে সুধা
চোখ করে ছল ছল।
ছোট্ট শিশু গলা জড়িয়ে বলে,
খিদে পাইনি মোর, মা তুই কেন কাঁদিস বল।
খানিক বাদে মাইকের আওয়াজ
গ্রামে প্রচারের গাড়ি।
কালকে নাকি রেশন দিবে
রতন লাহার বাড়ি।
কচুর শাক খেয়ে রাত কাটিয়ে
যেই হয়েছে ভোর ।
কেবল ব্যাগটি বোগলে চেপে ধরেই
অমনি দিল দৌড়।
রতন লাহার চালের মাপ,
যেই গিয়েছে কমে।
ঝামেলা পাকাতে একদল লোক
এসে পড়লো জমে।
ঝগড়া মারামারি লুটপাট শুরু হলো
কেউ চাল নিয়ে গেল নিজের ঘরে ।
পুলিশ এসে তালা মেরেই বললো,
চাল বিলি আজকের পরে।
ফিরেই সুধা বাঁধল আগে
কচুর শাকের আঁটি।
কাঁদে আর ভাবে , কদিন বা বাঁচব খেয়ে
এই কচুর শাকের ঘাঁটি।
দরজায় দিল খিল, বুকে বেঁধে আশা
রাত পার হয়ে আসুক সকাল।
দুটি ভাত তবেই পেটে দেওয়া যায়
যদি পাওয়া যায় সরকারি অনুদানের চাল ।
কলমে – সত্যজিৎ পাল