সঞ্চারী
চঞ্চলা হাওয়াতে চায় মন উড়াতে,
মাঠ-ঘাট ছাড়িয়ে লোকালয় পেরোতে।
কুসুমে লালিত ঐ ঝোপ-ঝাড় বন,
গাছে গাছে পাখিদের চলে সে কূজন।
মুকুলে শোভিত ভরা আম্রকানন,
ছায়াতলে রাখালিয়া কাজে নেই মন।
নদীতীর নিশ্চুপ সারি বাঁধা নৌকা,
জেলেভাই তরী বায় হাতে নিয়ে বৈঠা।
আঁধারিতে বাঁশঝাড়ে জোনাকির গায়,
লাল-নীল বাতি জ্বলে রাত্রির আঙিনায়।
আষাঢ়ের মেঘ ডাকে ঝমঝম বৃষ্টি,
কদমের স্পর্শে নাকি কল্পতরুর সৃষ্টি।
নয়নতারার গন্ধে মাতে আকাশের চাদোয়া,
পূর্ণিমার চাঁদে যেন চারিদিক আধোয়া।
তারাগুলো নিশ্চুপ জেগে রয় গগণে,
সোনালু রঙ মাখে মাতাল ঐ পবনে।
অশ্বত্থ সারি বেধে উঁকি মারে হাওয়াতে,
গাঙচিল খুঁজে ফেরে সায়রের নোনা তে।
পারাবার উত্তাল চায় ছুতে লহরী,
আকাশের অচলায় পারি দেয় ধরণী।
অনিলের সঞ্চারে মাতাল হয়ে ঝরনা,
নেমে আসে ভূধরে চাতকের বন্যা।
বিচিত্র ধরিত্রীর কোলখানি ঘেষে,
পাপ-তাপ উড়ে যায় অভিরামে ভেসে।
লেখিকাঃ
উম্মে তাবাসসুম ইসলাম মীম
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়