1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

করোনায় মৃত ছেলের লাশ সড়কে ফেলে গেলেন বাবা!

  • Update Time : বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০
  • ১৭৭ Time View

দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ছোট ছেলে চেতন চন্দ্র দাসের। ঢাকা থেকে সেই লাশ বড় ছেলে অতুল চন্দ্র দাসকে সঙ্গে নিয়ে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন বাবা নকুল চন্দ্র দাস। কিন্তু মৃত সন্তান থেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়, আর গ্রামে লাশ সৎকারের বাধার শঙ্কায় রবিবার (১৪ জুন) রাতে কাঁথা ও পলিথিনে মুড়িয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে লাশ ফেলে রেখে পালান তারা। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে সাইদুল হক ভূইয়া এ তথ্য জানান।

পুলিশ জানায়, সোমবার (১৫ জুন) সকালে জেলার দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে পুলিশ অজ্ঞাত লাশটি উদ্ধার করে। পরে মৃত ব্যক্তির ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করে টাঙ্গাইলের সিআইডির ক্রাইম সিন টিম। মৃত চেতন চন্দ্র দাস জেলার কালিহাতী উপজেলার আমজানী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবারসহ ঢাকার আব্দুল্লাপুরে বাস করছিলেন।

জানা যায়, চেতন চন্দ্র ঢাকার এয়ারপোর্ট এলাকায় রিকশা চালাতেন। ৬-৭ দিন আগে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর গত শনিবার রাতে তিনি মারা যান। ছেলের মৃত্যুর পর বাবা নকুল চন্দ্র দাস বড় ছেলে অতুল চন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু করোনা আক্রান্তের ভয় এবং লাশ সৎকারে গ্রামবাসীর বাধার কথা ভেবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ডুবাইলে কাঁথা, চাদর ও পলিথিনে মুড়িয়ে মৃতদেহটি ফেলে পালিয়ে যান তারা। পরে রবিবার (১৪ জুন) সকালে গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে দেলদুয়ার থানায় হস্তান্তর করে। এরপর দেলদুয়ার থানা পুলিশ অজ্ঞাত লাশটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান। পরে টাঙ্গাইল সিআইডির ক্রাইম সিন টিম তার ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে।

ওসি সাইদুল হক বলেন, ‘পরিচয় শনাক্তের পর জানতে পারি, মৃত চেতন চন্দ্র দাস করোনা রোগী ছিলেন। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত ব্যক্তির কাকা পূন্য চন্দ্রের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় লাশ দাহ করতে খরচ হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয় তাকে।’

এদিকে, সোমবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় মৃত চেতন চন্দ্র দাসের লাশ সৎকার করে টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। ওইদিন টাঙ্গাইল শহরের কাগমারী রানীদিনমনি মহাশ্মশানে তার সৎকার সম্পন্ন করা হয়।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে বলেন, ‘টাঙ্গাইল সদর থানা ও দেলদোয়ার থানার ওসির সার্বিক সহযোগিতায় বিধিসম্মতভাবে লাশটি সৎকার করেছি। মৃত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে দেলদোয়ার থানার ওসি আমাদের নিশ্চিত করেছেন।’

ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..