প্রত্যয় ডেস্ক: বাংলাদেশের ৪৯তম বিজয় দিবস পৃথকভাবে সাড়ম্বরে উদযাপন করল কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর কলকাতাস্থ পূর্বাঞ্চল কমান্ড। এছাড়া কলকাতার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন দিনটি উদযাপন করছে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। দিনটি উপলক্ষে বুধবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকাতায় শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী বিজয় উৎসব। কলকাতার উপ-হাইকমিশন চত্বরে আয়োজন করা হয়েছে এ উৎসবের। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার উৎসবের সময়সীমা দু’দিন কমিয়ে আনা হয়েছে। নয় বছর ধরে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উদ্যোগে এ বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ১৭ ডিসেম্বর শেষ হবে উৎসব।
উৎসব উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক বীরমুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীরপ্রতীক)। সভাপতিত্ব করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। উৎসবকে ঘিরে দু’দিনই থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যোগ দিচ্ছেন কলকাতার গুণী শিল্পীরা। থাকছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তথ্য ও চলচ্চিত্র এবং আলোকচিত্র প্রদর্শন। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে উৎসব।
এদিকে এবারও ১৬ ডিসেম্বর সাড়ম্বরে উদযাপন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কলকাতাস্থ পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড। উৎসবে বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছেন সাংসদ মো. আলী আশরাফের নেতৃত্বে ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা, ৬ জন সেনা কর্মকর্তা, ১১ জন বেসামরিক কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ৫৯ জন প্রতিনিধি। সেনা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন লে. জে. সাহিদুল হক। এ উপলক্ষে ১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদর দপ্তর ফোর্ট উইলিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। সেনাবাহিনীর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে থাকছে মিলিটারি ব্যান্ডের কনসার্ট ও মিলিটারি ব্যান্ডের প্রদর্শনী।
বুধবার সন্ধ্যায় ফোর্ট উইলিয়ামে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান। প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
এর আগে সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন চত্বরে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পরে কলকাতা উপ-হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু কর্নারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সবশেষে বঙ্গবন্ধু ও একাত্তরের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।