বেশ কয়েকবার সংস্কারসহ তিনবার পূন:নির্মান হলেও সাগর মোহনা আন্ধারমানিক নদীর অস্বাভাবিক উচ্চতার জোয়ারে পানি ভাঙন কবলিত অংশ দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে। দফায় দফায় প্লাবিত হয় ওই ইউনিয়নের পুরান মহিপুর, ইউসুফপুর, নিজামপুর, কোমরপুর ও সুধিরপুর গ্রামের অন্ততঃ তিন হাজার একর জমি। দীর্ঘ ১২ বছরে কাঙ্খিত ফসল পায়নি কৃষকরা। এছাড়া বন্ধ হয়ে যায় বাঁধ সংশ্লিষ্ট একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মাণ করে দেয় রিং বেরিবাঁধ। সর্বশেষ ঘূর্নিঝড় আম্ফানের তান্ডবে এ বাঁধটি ফের বিভিন্ন স্থান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এ বাঁেধর উপর দাঁড়িয়ে চাষী বশার উদ্দিন অনেক কষ্ট নিয়ে বলেন, আন্ধারমানিক নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের তান্ডবে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীতে পানির চাপ বাড়লে এ বাঁধটি যে কোন সময় ছুটে যেতে পারে। তখন আর যাওয়ার কোন জায়গা থাকবেনা বলে তিনি দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। নিজামপুর গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক আযাহার বিশ্বাস বলেন, সিডরের পর থেকে পাঁচ গ্রামের মানুষ দশ বছর যাবৎ জমিতে কোন চাষ করতে পারিনি। এর পর পানি উন্নয়ন বোর্ড জনগনের দূর্ভোগ লাগবে এখানের রিং বেরিবাঁধ করে দেয়।
কিন্তু সুপারসাইক্লোন আম্ফানের তান্ডবে এ বাঁধটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুই বছর ধরে চাষ শুরু করছি। এখন আবার নতুন করে আতঙ্কে ভুগছি। মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ: ছালাম আকন বলেন, এ এলাকার বেশিরভাগ মানুষই মৎসজীবী, অনেকে আবার কৃষিকাজ করেও জীবিকা নির্বাহ করেন। নিজামপুর ও সুধীরপুর গ্রাম সাগরের মোহনায় সংলগ্ন। শুধু অমাবস্যা-পূর্ণিমাই নয়, জোয়ার ভাটার সাথে যুদ্ধ করে বেচে থাকতে হয় তাদের। পূর্বের বেবিবাঁধ নেই, সারে আটশ মিটার রিং বেরিবাঁধ হয়েছে। তাও আবার আম্ফানে ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়ে গেছে। এসব নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দ্বারে দ্বারে গিয়ে আমি বহু ঘুরেছি। তাই অবহেলিত এ জনপদের নিজামপুর গ্রামের তিন কিলোমিটার বেরিবাঁধ নতুন ভাবে করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো.ওয়ালিউজ্জামান বলেন, ঘূর্নিঝড় আম্ফানে রিং বেরিবাঁধটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। যে বরাদ্ধ দেয়া হয় তা দিয়ে কোন রকমের কাজ করা সম্ভব এবং চেষ্টা করা হচ্ছে। সাগর মোহনায় পুনাঙ্গ বেরিবাঁধ করা দরকার।জরুরী ভিত্তিতে এবং এ জন্য ভিন্ন প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রনালয় পাঠানো হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
কলাপাড়ায় সেনাবাহিনীর ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় অসহায় দরিদ্রদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা, ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সহায়তা প্রদান করেন বরিশাল বিভাগের শেখ হাসিনা সেনানিবাসের সপ্তম পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যরা। এসময় তিন শতাধিক রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা এবং শতাধিক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় সপ্তম পদাতিক ডিভিশন’র জিওসি মেজর জেনারেল আবুল কালাম মো. জিয়াউর রহমান, কমান্ডার সাত আর্টিলারি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মেফতা উল করিম, ৪২ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির লেফট্যানেন্ট কর্নেল শাহরিয়ার রিয়াজ উপস্থিত ছিলেন।