বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা:এই মুহূর্তে বাংলায় বিজেপির সবচেয়ে দাপুটে নেত্রী হয়ে উঠেছেন অগ্নিমিত্রা। আগে এই ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। তার পর সেই ভূমিকা নেন অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এখন সেই ভূমিকা পালন করছেন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে বিখ্যাত অগ্নিমিত্রা পাল। শিলিগুড়িতে বিজেপির মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে শুক্রবার রীতিমতো গর্জে ওঠেন তিনি। স্পষ্ট বলেন, ‘তৃণমূলের নির্দেশে এখন কাজ করছে এই পুলিশ। বিজেপি ক্ষমতায় এসে আগে এদের প্রত্যন্ত এলাকায় বদলি করবে।’
এদিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে মিছিল করার কর্মসূচি নিয়েছিল রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চা। মিছিল শুরু হয় শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম থেকে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন অগ্নিমিত্রা পাল ছাড়াও সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, সায়ন্তন বসু এবং বিজেপির অন্য নেতারা। কিন্তু মিছিল আটকে যায় হাসপাতাল মোড়ে। সেখানে ব্যারিকেড করে দাঁড়িয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে বিজেপি নেতা ও কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। কিন্তু হাসমিচকের কাছেও ব্যারিকেড করে দাঁড়িয়েছিল পুলিশ বাহিনী। বিজেপি নেতা–কর্মীরা সেই ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, পুলিশ তখন বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। তবে বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
এর পর হাসমিচকেই অবস্থান করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি নেতা ও কর্মীরা। সেখানেই পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে হুঁশিয়ারি দেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, ‘এত অভিযোগ উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে, তবু তাদের কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না। তারা তৃণমূলের কথায় চলবে বলে ঠিক করে ফেলেছে।’ তিনি পুলিশকে রীতিমতো সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘তৃণমূলের কথায় যে সব পুলিশ অতিসক্রিয় হয়ে বিজেপিকে কথায় কথায় বাধা দিচ্ছে, মারধর করছে, তাদের চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে। তাদের এমন দলদাসের সময়সীমা আর মাত্র ৬ মাস। তার পর রাজ্যের চেহারা বদলে যাবে। ক্ষমতায় আর তৃণমূল থাকবে না। আর, বিজেপি ক্ষমতায় এসে আগে এই দলদাস পুলিশদের রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় বদলি করবে।’
ওই অবস্থান বিক্ষোভ থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, ‘করোনা সময়ে শুধু তৃণমূলই রাস্তায় বের হতে পারে। তখন পুলিশ অন্ধ হয়ে থাকে। বিজেপি রাস্তায় নামলে তারা দল বেঁধে বাধা দিতে নেমে পড়ে। মনে রাখবেন, ৬ মাস পর রাজ্যে বদল হবে। তখন বদলাও নেওয়া হবে।’ শিলিগুড়ি তৃণমূল অবশ্য বিজেপির এমন সব মন্তব্য ও অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তবে পুলিশ ও প্রশাসন শহরের হাসপাতাল মোড়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি করেছে।