ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোনো গুনাহ করে ফেলার পর যদি কোনো বান্দা অজু করে দুরাকাত নামাজ পড়ে এবং আল্লাহর কাছে গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন। এরপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন,
وَ الَّذِیۡنَ اِذَا فَعَلُوۡا فَاحِشَۃً اَوۡ ظَلَمُوۡۤا اَنۡفُسَهُمۡ ذَکَرُوا اللّٰهَ فَاسۡتَغۡفَرُوۡا لِذُنُوۡبِهِمۡ ۪ وَ مَنۡ یَّغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ اِلَّا اللّٰهُ ۪۟ وَ لَمۡ یُصِرُّوۡا عَلٰی مَا فَعَلُوۡا وَ هُمۡ یَعۡلَمُوۡنَ – اُولٰٓئِکَ جَزَآؤُهُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ مِّنۡ رَّبِّهِمۡ وَ جَنّٰتٌ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِهَا الۡاَنۡهٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡهَا وَ نِعۡمَ اَجۡرُ الۡعٰمِلِیۡنَ
যারা কোন পাপ কাজ করে ফেললে কিংবা নিজেদের ওপর জুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, আল্লাহ ছাড়া গুনাহসমূহ ক্ষমাকারী কেই বা আছে এবং তারা জেনে শুনে নিজেদের পাপের পুনরাবৃত্তি করে না। এরাই তারা যাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের পক্ষ হতে ক্ষমা এবং এমন এক জান্নাত যার নিম্নে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আমলকারীদের প্রতিদান কতই না উত্তম! (সুরা আলে ইমরান: ১৩৫-৩৬) ( সুনানে আবু দাউদ)
কখনও শয়তানের ধোঁকায় পড়ে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়লে আমাদের কর্তব্য দ্রুত তওবা করা এবং ওই পাপ কাজটি আবার না করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হওয়া। গুনাহগার যথাযথভাবে লজ্জিত হয়ে তওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। তবে এই সুযোগ থাকে মৃত্যু বা আল্লাহর শাস্তি চলে আসা পর্যন্ত। মৃত্যু উপস্থিত হলে, বা আল্লাহর শাস্তি চলে এলে তওবায় আর কোনো লাভ হয় না। আল্লাহ বলেন,
اِنَّمَا التَّوۡبَۃُ عَلَی اللّٰهِ لِلَّذِیۡنَ یَعۡمَلُوۡنَ السُّوۡٓءَ بِجَهَالَۃٍ ثُمَّ یَتُوۡبُوۡنَ مِنۡ قَرِیۡبٍ فَاُولٰٓئِکَ یَتُوۡبُ اللّٰهُ عَلَیۡهِمۡ وَ کَانَ اللّٰهُ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا وَ لَیۡسَتِ التَّوۡبَۃُ لِلَّذِیۡنَ یَعۡمَلُوۡنَ السَّیِّاٰتِ حَتّٰۤی اِذَا حَضَرَ اَحَدَهُمُ الۡمَوۡتُ قَالَ اِنِّیۡ تُبۡتُ الۡـٰٔنَ وَ لَا الَّذِیۡنَ یَمُوۡتُوۡنَ وَ هُمۡ کُفَّارٌ اُولٰٓئِکَ اَعۡتَدۡنَا لَهُمۡ عَذَابًا اَلِیۡمًا
নিশ্চয় তাদের তওবা কবুল করা আল্লাহর জিম্মায় যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কাজ করে। তারপর শীঘ্রই তওবা করে। আল্লাহ এদের তওবা কবুল করবেন আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। এমন লোকেদের তওবা নিস্ফল যারা গুনাহ করতেই থাকে, তারপর মৃত্যুর মুখোমুখী হলে বলে, আমি এখন তওবা করছি এবং (তাদের তওবাও নিস্ফল) যাদের মৃত্যু হয় কাফির অবস্থায়। এরাই তারা যাদের জন্য আমি ভয়াবহ শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছি। (সুরা নিসা: ১৭, ১৮)