দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ চট্টগ্রামে সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া দায়িত্ব পালনকালে ১২ পুলিশ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের অন্তত ৩শ’ সদস্যকে। পুলিশের মাঝে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত দু’সপ্তাহে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ৮ ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আরো ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে ২শ’র বেশি ট্রাফিক পুলিশকে নিয়ে লকডাউন করা হয়েছে ব্যারাককে। ফলে প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, কোয়ারেন্টিনে রাখার কারণে ডিউটিতে অনেককে দেয়া যাচ্ছে না। তবুও আমাদের যারা সুস্থ আছে তারা বেশি দায়িত্ব নিয়ে বেশি ডিউটি করছে।
তবে নগরীর কিছু কিছু মোড়ে সেনাসদস্যদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে দেখা গেছে।
সেনাবাহিনী টহল টিমের টিম লিডার ক্যাপ্টেন কাফিউন নাহার কনা বলেন, আমরা চেষ্টা করছি গাড়িতে যদি একজনের বেশি থাকে তাদের নামিয়ে দিতে।
এদিকে পুলিশের মধ্যে করোনা আক্রান্তের হার ক্রমশ বাড়লেও নেই তেমন সুরক্ষা সামগ্রী। তবে বয়স্ক সদস্যদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রেখে সীমিত করা হয়েছে পরিধি।
সিএমপির উপ কমিশনার ট্রাফিক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, আমরা দুরত্ব বজায় রাখছি। ব্যারাকের মধ্যেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ডিনসিটি কমিয়ে দিয়েছি।
নগরীতে স্বাভাবিক সময়ে ২ লাখের বেশি যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিধি নিষেধ সত্ত্বেও অতিমাত্রায় যান চলাচল বন্ধ হয়নি।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন