জসিম তালুকদার,(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
১২২ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। তার মধ্যে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ২৩টি প্রতিষ্ঠান এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ৯৯টি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের লাইসেন্স কর্তৃপক্ষের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার কাস্টম হাউসের অপারেশন ম্যানেজারের কাছে ওই ১২২ প্রতিষ্ঠানের তালিকা বাতিলের জন্য পাঠিয়েছেন। ইতোমধ্যে কাস্টম কমিশনার ফখরুল আলম প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স বাতিলের অনুমোদনও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
লাইসেন্স বাতিল হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে মাস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, নবারুন বাংলাদেশ লিমিটেড, বিএম ট্রেডার্স, মার্চেন্ট করপোরেশন, সি উইড ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, বসুন্ধরা, গ্লোব এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড এজেন্সি লিমিটেড, বৈশাখী শিপিং লাইন লিমিটেড, এ সাত্তার অ্যান্ড সন্স, বন্ধন ট্রেডার্স, ট্রেড ক্লিপার্স কার্গো লিমিটেড, নিকো এন্টারপ্রাইজ, তানিয়া এন্টারপ্রাইজ, আল মাওয়া ইন্টারন্যাশানাল, চাঁদ তারা ট্রেডিং, ক্রাউন ইন্টারন্যাশনাল, টেকমেক কোম্পানি, রেজিয়া ইন্টারন্যাশনাল, এফএফকে ইন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, হাসিনা এন্টারপ্রাইজ, বাবুল এন্টারপ্রাইজ, মাল্টিটেক ইন্টারন্যাশনাল, জিম এন্টারপ্রাইজ, মেঘনা এন্টারপ্রাইজ, যমুনা শিপিং এজেন্সি, জামান অ্যান্ড সন্স, বন্ধন ট্রেডিং হাউস, আনমান এজেন্সিস, দি নিজামপুর এজেন্সি, বাংলাদেশ বিল্ডার্স, সেতারা করপোরেশন, অ্যাকশন লজিস্টিক, এনেক্স এন্টারপ্রাইজ, মানাস এন্টারপ্রাইজ, আরিফ এন্টারপ্রাইজ, লাকী ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, সায়মন এন্টারপ্রাইজ, নবীন এন্টারপ্রাইজ, ট্রাস্ট করপোরেশন, লিংক ইন্টারন্যাশনাল, বাসার এন্টারপ্রাইজ, বিজটেক লজিস্টিকস, আভা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, অথৈ শিপিং, প্রম্পট ক্লিয়ারিং, রনি এন্টারপ্রাইজ, আরআর ফেব্রিক্স লিমিটেড, রূপশা এন্টারপ্রাইজ, রহমান এজেন্সি, রাসেল এন্টারপ্রাইজ, রহমান অ্যান্ড সন্স, রিভার ভিউ, রফিক করপোরেশন লিমিটেড, রয়েল ট্রেডিং সিটিজি লিমিটেড, রনি শিপিং লাইন, ওয়ার্ল্ড লিংক লজিস্টিক্স, আলো ট্রেডিং, আতব হোমায়রা, আব্দুল মোনেম লিমিটেড, আলম অ্যান্ড ব্রাদার্স, আজমীর ইন্টারন্যাশনাল, এ বকর অ্যান্ড কোম্পানি, আহমদ এজেন্সিস, আলভী কমার্শিয়াল, বাবুল চৌধুরী কোম্পানি লিমিটেড, বে স্টার লিমিটেড, বি কবির অ্যান্ড ব্রাদার্স, ব্রাইট শিপিং, ব্রাইট অ্যান্ড কোম্পানি, বাণিজ্য বিকিরণ, বাংলাদেশ ট্রেডিং এজেন্সি, বাংলাদেশ ইন্টা শিপিং, পরিচর্যা এজেন্সি লিমিটেড, পিএন করপোরেশন, পদমদি, পপুলার প্যাকার্স অ্যান্ড শিপিং, পেগসি টেক্সটাইল লিমিটেড, পরাগ ট্রেডিং এজেন্সি, পপুলার এজেন্সি বাংলাদেশ, লিপইয়ার ইন্টারন্যাশানাল, জ্যাকো এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, জেনথি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, মডার্ন সিপার্স, এমএ লতিফ অ্যান্ড কোম্পানি, এমআর করপোরেশন, মামুন অ্যান্ড ব্রাদার্স, ম্যাক এন্টারপ্রাইজ, এমএম করপোরেশন, এনাছু ট্রেডার্স, ইজি লাইন, এক্সপ্রেস এজেন্সিজ প্রাইভেট লিমিটেড, ক্লাসিক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, কন্টিনেন্টাল সিঅ্যান্ডএফ লিমিটেড, কন্টিনেন্টাল ট্রেডিং এজেন্সি, সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনাল, ট্রেড বাংলা ইনক, দি স্কাইল্যান্ড ট্রেডার্স, টেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ ও এনএস করপোরেশন।
এদিকে বিভিন্ন অপরাধে আগে যেসব লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে এসই শিপিং লাইন, খালিল ট্রেডার্স, ডিভোট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইউরো-এশিয়া এজেন্সিজ, ফয়েজ ব্রাদার্স, সাইমুন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ঝিনুক এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড, লায়লা ট্রেডিং কোম্পানি, মাসুদ এন্টারপ্রাইজ, ফার ইস্টার্ন শিপিং এজেন্সি, কার্গো মুভারস এবং প্যাকাস, এঞ্জেল এন্টারপ্রাইজ, মায়মুন ট্রেডিং করপোরেশন, লাকী শিপিং এজেন্সি লিমিটেড, প্যানাসিয়া প্যাকারস অ্যান্ড শিপার্স লিমিটেড, নীপা ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড, জিক করপোরেশন, ডায়মন্ড ট্রেডিং করপোরেশন, মাহবুব শিপিং এজেন্স, মক্কা মদিনা ইন্টারন্যাশনাল, এমআর করপোরেশন ও কর্ণফুলী এজেন্সি।
চট্টগ্রাম হাউসের উপ-কমিশনার (প্রশাসন) একেএম সুলতান মাহমুদ আমার সময়কে বলেন, ‘অনেক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স নবায়ন করতে গড়িমসি করছে। দীর্ঘ বছর লাইসেন্স নবায়ন না করেই তাদের কার্যক্রয় চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ থেকে তাদের নবায়নের জন্য বলা হলে তারা কভিড-১৯-এর দোহাই দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছিল। তাই আমরা গত দুই বছর বাদ দিয়ে অর্থাৎ ২০১৮ সালের আগে যাদের মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের লাইসেন্স লক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ লাইসেন্সগুলো ১৯৯৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ রয়েছে।
আরও পড়ুন : মতিঝিলে মোদিবিরোধী বিক্ষোভ, টিয়ারগ্যাসে আহত নুর