1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : Rakibul Hasan Shanto : Rakibul Hasan Shanto
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

চরফ্যাসনে তরমুজের বাম্পার ফলন উৎসবে রূপ নিয়েছে

  • Update Time : রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৬১ Time View

গাজী মো. তাহেরুল আলম,ভোলা প্রতিনিধি: 

উপকূলিয় জেলা ভোলার চরফ্যাসনে তরমুজের বাম্পার ফলন উৎসবে রূপ নিয়েছে।চাষীদের ঘরে ঘরে সুখের হাসি।এমন বাম্পার ফলন এর আগে কখনো দেখেনি তারা।তরমুজ যেনো মুছে দিয়েছে দুঃখদিনের সব গ্লানি।

অনুকূল আবহাওয়া এবং রোগবালাইয়ের প্রকোপ না থাকায় এ বছর ভোলা জেলায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তা দেখে চাষিদের মুখে ফুটেছে হাসি।জেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মিঠা পানি আর পলিমাটির অঞ্চল ভোলা জেলার ৭ টি উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে হাজার,হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয় বাঙ্গি ও রসালো ফল তরমুজ। এবছর এসকল উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে তরমুজ ও বাঙ্গির।

সরেজমিনে দেখা যায় সর্বত্রই তরমুজের ছড়াছড়ি। কেউ ট্রলি থেকে তরমুজ নামিয়ে ঘাটে স্তূপ করছে। কেউবা ট্রলার বোঝাই করে তরমুজ উঠাচ্ছে। আবার বাজারজাত করতে ঐসব তরমুজ নৌযান বোঝাই করে প্রতিদিন ট্রাকে করে এই তরমুজ সড়ক ও নৌ-পথে রপ্তানী করা হচ্ছে ঢাকা,চট্টগ্রাম ও বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। বাম্পার ফলনে চাষীরাও রয়েছেন খোশ মেজাজে। ক্ষেত থেকেও পাকা তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। আগাম তরমুজে বেশি মুনাফার আশায় পাইকাররাও আসতে শুরু করেছেন চাষীদের দোর গোড়ায়। আবার অনেক চাষী পুরো ক্ষেত অধিক মুনাফায় আগাম বিক্রি করে দিচ্ছেন।

তবে গতবছর ঝরঝঞ্চা ও করোনায় বাজারঘাট বন্ধ থাকায় চাষীদের লোকসান গুনতে হলেও এ বছর যদি লকডাউন না থাকে তাহলে প্রথম কর্তনেই চাষীদের মূলধনসহ অধিক মুনাফা উঠে আসবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে উপজেলার একাধীক চাষী বলেন, গতবছরে তরমুজ চাষীরা মূলধন হারিয়ে ঋণগ্রস্থ হলেও খবর নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। এবছর ঋণ নিয়ে তরমুজ ও বাঙ্গির আবাদ করলেও প্রথম কর্তনে ক্ষেত থেকেই তরমুজের পাইকাররা নগদ টাকায় ক্রয় করছেন। তবে দ্বিতীয় কর্তনে মূলধনসহ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন এসব তরমুজ চাষীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার মুজিবনগর,নজরুলনগর,কলমী,নীলকমল,নুরাবাদ,আহমদপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ ও বাঙ্গির আবাদ করা হয়েছে। এসব এলাকার বিস্তীর্ণ এ তরমুজের ক্ষেতে চাষীরাও রয়েছেন কর্মব্যস্ততায়। প্রথম কর্তনেই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারসহ ফলের দোকান ও আড়তগুলোতে তরমুজ ও বাঙ্গি আসতে শুরু করেছে। চৈত্রের গরমে লাল টকটকে রসালো এ আগাম তরমুজ একটু চড়া মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে হাটবাজারগুলোতে। ফলে সাধারণ ক্রেতারাও সাধ্য অনুযায়ী ১৫০ থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা খুচরা মূল্যে ক্রয় করছেন পিয়াসা মেটানো রসালো এ তরমুজ। এছাড়াও প্রতি পিচ বাঙ্গি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী আবু কালাম জানান,গতবছর করোনার ধকল গেলেও এবছর প্রথম কর্তনের তরমুজ বাজারে আসায় দাম একটু চড়া। আসছে রমজান উপলক্ষে এসব তরমুজের দাম বাড়তে পারে বলেও মনে করেন তিনি। আড়তদার জামাল উদ্দিন বলেন, গতবছর লোকসান হলেও এবছর অধিক মুনাফা হবে তরমুজে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসনাইন বলেন,চরফ্যাশনে ৪ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও বাঙ্গি আবাদ হয়েছে। তরমুজ চাষীরা যেন বিপাকে না পড়ে এজন্য মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপ-সহকারী কামরুজ্জামান শিপনসহ অন্যান্যরা সার্বক্ষণিক মাঠ পরিদর্শন ও চাষীদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়াও ভোলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু এনায়েত উল্লাহসহ ঢাকা থেকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণার একটি টিম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তরমুজের ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন।

আরও পড়ুন : সকাল হতেই বেড়ে গেল পেঁয়াজের দাম

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..