প্রত্যয় নিউজডেস্ক: স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার সময় উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে (ইউসিএল) অনেকটা একক আধিপত্য ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। রিয়ালকে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোর অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। দলকে জেতানোর পাশাপাশি রোনালদো নিজেও ভাসতেন ব্যক্তিগত সাফল্যে।
যার ফলে ভক্ত-সমর্থকরা ‘ইউসিএল’ এর পূর্ণাঙ্গ রূপ হিসেবে বলতো ‘উয়েফা ক্রিশ্চিয়ানো লিগ’। কিন্তু রিয়াল ছাড়ার পর চ্যাম্পিয়নস লিগে দাপট কমেছে রোনালদোর। গত দুই মৌসুমে ঠিক নিজের সেরা ফর্মের ছাপ রাখতে পারেননি মাঠে। যে কারণে ২০১৯-২০ মৌসুমের ২৩ জনের স্কোয়াডেও জায়গা হয়নি এ পর্তুগিজ তারকার।
গত রোববার পর্তুগালের লিসবনে পর্দা নেমেছে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের। ফ্রেঞ্চ ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। ফলে টুর্নামেন্টের সেরা স্কোয়াডে তাদেরই আধিপত্য, মোট ২৩ জনের মধ্যে ৯ জনই সুযোগ পেয়েছেন বায়ার্ন থেকে।
এছাড়া রানার্সআপ প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও এবারের মৌসুমে চমক দেখানো আরবি লাইপজিগ থেকে সুযোগ পেয়েছেন ৩ জন করে খেলোয়াড়। চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ থেকে নেই কোনো খেলোয়াড়। তাদের চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা থেকে জায়গা পেয়েছেন শুধুমাত্র লিওনেল মেসি।
২০১৯-২০ চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা দল
গোলরক্ষক: ম্যানুয়েল নয়্যার (বায়ার্ন মিউনিখ), ইয়ান অবলাক (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ) ও অ্যান্তনিও লোপেজ (অলিম্পিক লিয়ন)।
ডিফেন্ডার: আলফনসো ডেভিস (বায়ার্ন মিউনিখ), জসুয়া কিমিচ (বায়ার্ন মিউনিখ), ডেভিড আলাবা (বায়ার্ন মিউনিখ), ভার্জিল ফন ডাইক (লিভারপুল), দাইয়ু উপামিকানো (লাইপজিগ) ও আনহেলিনো (লাইপজিগ)।
মিডফিল্ডার: থমাস মুলার (বায়ার্ন মিউনিখ), থিয়াগো আলকান্তারা (বায়ার্ন মিউনিখ), লেয়ন গোরেৎজকা (বায়ার্ন মিউনিখ), কেভিন ডে ব্রুইনে (ম্যানচেস্টার সিটি), হোসাম আউয়ার (অলিম্পিক লিয়ন), মার্সেল জাবিৎসার (লাইপজিগ), মার্কুইনহোস (পিএসজি), দারিও গোমেস (আটলান্টা)।
ফরোয়ার্ড: রবার্তো লেওয়ানডোস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ), সার্গেই জিনাব্রি (বায়ার্ন মিউনিখ), লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা), নেইমার (পিএসজি), কাইলিয়ান এমবাপে (পিএসজি) ও রাহিম স্টার্লিং (ম্যানচেস্টার সিটি)।