এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা ছাড় দেয়া হয়েছে। এ বাবদ তাদের বেতনের ২০ শতাংশ ভাতা প্রদান করা হয়েছে। রোববার (১১ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. রুহুল মমিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে মাত্র একদিন বাকি থাকায় পহেলা বৈশাখীর পরে এ অর্থ তারা হাতে পাবেন বলে অভিযোগ শিক্ষক নেতৃবৃন্দের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘১৪২৮ বঙ্গাব্দের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতার চেক ছাড় হয়েছে। বৈশাখী ভাতার ৮টি চেক অনুদান বণ্টনকারী ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বৈশাখী ভাতার টাকা তুলতে পারবেন।
তবে দেরি করে চেক অনুমোদন হওয়ায় এবার শিক্ষক-কর্মচারীরা পহেলা বৈশাখের ভাতা নির্ধারিত সময়ে তুলতে পারছেন না। এজন্য শিক্ষক নেতৃবৃন্দ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে সরকারি কলেজ ও স্কুল শিক্ষকরা ১০ এপ্রিলের মধ্যে এ ভাতা হাতে পেয়েছেন। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও বৈশাখী ভাতার টাকা পেয়েছেন।
জানা গেছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা পাবেন। এবার বৈশাখী ভাতা বাবদ স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের মোট ১৪৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা দেয়া হবে।
২০১৯ সাল থেকে বৈশাখী ভাতা পাওয়া শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বৈশাখী ভাতা ও ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর সে বছর থেকেই শিক্ষকরা ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন। এমপিওভুক্ত প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এ বছরও মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা পাবেন।
বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতায় আমরা সন্তুষ্ট নই। সরকারি শিক্ষকদের মতো মাসিক বেতনের শতভাগ বেসিক দেয়ার দাবি দীর্ঘ দিন ধরে করে আসলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তার উপরে এবার কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় এ বাবদ চেক বিলম্ব করে ছাড় দেয়ায় পহেলা বৈশাখের পরে এ অর্থ হাতে পাবেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।