জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফ এর সুপারিশপত্র আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেয়া ওয়েব ঠিকানা থেকে আইডি নম্বর, বাড়ির মালিকের নাম, নাম্বার ও ঠিকানার তথ্য প্রদান করে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র সুপারিশ পত্রটি সংগ্রহ করতে পারবেন। এরপর এই আবেদনপত্রটি শিক্ষার্থীদের নিজ সুবিধামত ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিজেদের উদ্যোগেই মেস মালিকের কাছে তা পাঠাতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাড়ি ভাড়া মওকুফের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর পক্ষ থেকে সুপারিশ পত্র সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করা হয়। আবেদনপত্রটি অনলাইন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা যাবে। গত ১৩ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল ছাত্র-ছাত্রী বাড়ি ভাড়া মওকুফের জন্য সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিকের নিকট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সুপারিশসহ আবেদন করতে চান, তারা (https://jnu.ac.bd/dsw/) ওয়েব ঠিকানা থেকে নিজ আইডি নম্বর, বাড়ির মালিকের নাম ও ঠিকানার তথ্য প্রদান করে সুপারিশ পত্রটি সংগ্রহ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের আইডি নাম্বার না থাকায় তারা সুপারিশপত্রের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছে না। উল্লেখ্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেস/বাড়ি ভাড়ার সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে প্রায় এক মাস আগে একটি এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
কিছুদিন আগে কমিটি থেকে একটি প্রস্তাবনা প্রশাসনকে দেয়া হলে রিপোর্টের ভিত্তিতে ৬ জুলাই ছাত্রকল্যান থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়, যেখানে বলা হয়েছিল শিক্ষার্থীকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুপারিশ পত্রটি সংগ্রহ করতে হবে, পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করা হয়। এরপর ১৩ জুলাই আবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যানের পক্ষ থেকে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় যেখানে বাড়ি ভাড়া মওকুফের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সুপারিশ পত্র অনলাইনে সংগ্রহের কথা উল্লেখ করা হয়।
সুপারিশপত্রের আবেদনটি মোবাইল ব্রাউজারে করা সম্ভব হয় নি বিধায় নেটওয়ার্ক এন্ড আইটি পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জল কুমার আচার্য্য এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ সমস্যার সমাধান করে দেন।
সহকারী পরিচালক (আইটি) জনাব মানতাহা মনি এ ব্যাপারে আইটি দপ্তরের কম্পিউটার প্রোগ্রামার জনাব মোঃ হাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। হাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আইডি নাম্বারটি ঠিক দিলে সঠিক ভাবে সাবমিট হবে। এরপর একটি আবেদন ফ্রম আসবে। সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে রাখতে পারবে। আমাদের কাজ এতটুকুই।
মেস ভড়া মওকুফের সুপারিশপত্রের আবেদন পরবর্তী প্রক্রিয়া জানতে চাইলে ছাত্রকল্যাণের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন, আবেদনের কপিটা শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করবে। তারা যদি মনে করে এটা মেস মালিককে দিতে হবে তাহলে সেটা তারা মেস মালিককে প্রদান করবে। তাদের প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করবে। আবেদনের কপিটা কি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেস মালিকের কাছে পাঠাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই কপিটা শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধাজনক কাজে ব্যবহার করবে। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ মেস মালিককে পাঠাবে না।
এ ব্যাপারে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারের সাথে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।