দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ জাপানের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে টানা বৃষ্টির পর সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯-তে পৌঁছেছে। কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণের পর নদীর পানি উপচে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কারুশিকির একটি হাসপাতালে থাকা প্রায় ১০০ জনসহ অন্তত এক হাজার বাসিন্দা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধ নাগরিকদের উদ্ধারে গতকাল রবিবার জরুরি বিভাগের কর্মীরা হেলিকপ্টার ও নৌকা ব্যবহার করে।
প্রতিবছর জুলাই মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, পশ্চিম জাপানের কিছু কিছু এলাকায় এবার সে তুলনায় তিন গুণ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির আবহাওয়াবিদরা। প্রায় পাঁচ লাখ বাসিন্দার শহর কারুশিকি বৃষ্টিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টেলিভিশনের ফুটেজে শহরটির মাবি মেমোরিয়াল হাসপাতালের বেলকনিতে রোগী ও হাসপাতাল কর্মীদের উদ্ধারের আশায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
ফুটেজে অসংখ্য গাড়িকে কর্দমাক্ত পানিতে ভাসতে এবং বৃদ্ধাশ্রম থেকে একজনকে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারের চিত্রও দেখানো হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পর বন্যার পানিতে ঘরছাড়া হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যাও এক রাতের মধ্যেই ৪৯ থেকে ৬৯-তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম ও জাপানের অগ্নি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা।
এনএইচকের খবরে এখনো আরো ৬০ জন নিখোঁজ বলে জানানো হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় অন্তত আরো এক দিন বৃষ্টিপাত হবে বলেও পূর্বাভাস তাদের। বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি ও ভূমিধসের কারণে অনেকেই বাড়িঘরের ভেতরে কিংবা ছাদে আটকা পড়েছে বলেও জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, ‘এখনো অনেকেই নিখোঁজ, অন্যদের দরকার সাহায্য। আমাদের সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে।’ সূত্র : রয়টার্স।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন