নিজস্ব প্রতিবেদক: মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় কথিত যুবলীগ নেতা ও বিতর্কিত ঠিকাদার জিকে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। এ মামলায় বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন আদালতে কোনো সাক্ষী হাজির হননি। এজন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সময়ের আবেদন করা হয়। আবেদন মঞ্জুর করে বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
এর আগে ১৯ নভেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরও আগে ১০ নভেম্বর মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত। ৪ আগস্ট সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ ঠিকাদার জিকে শামীমসহ ৮ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন।
চার্জশিটে ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়। ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলাটি করেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, আসামিরা এক কোটি ৮১ লাখ টাকা ও ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা এফডিআরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং করেছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, জামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম। আসামিরা সবাই কারাগারে আছেন।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সাত বডি গার্ডসহ গ্রেফতার হন জিকে শামীম। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়। এছাড়া গত বছরের ২১ অক্টোবর জিকে শামীমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় জিকে শামীম অবৈধ উপায়ে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। এসব মামলায় একাধিকবার জিকে শামীকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে দুদকের মামলাটি তদন্তাধীন ও বাকিগুলো বিচারাধীন রয়েছে।