বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
ওয়েব ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, জুয়ার অর্থ লেনদেনকারী এমএফএস অ্যাকাউন্টগুলোর একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব পোর্টালে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে, সেগুলোও পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে অনলাইন জুয়া, বেটিং ও পর্নোগ্রাফি সাইট বন্ধে অংশীজনের সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এ বছরের মে মাস থেকে ৪ হাজার ৮২০টি মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট এবং ১ হাজার ৩৩১টি জুয়া সংশ্লিষ্ট পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্ট ইউনিট (বিএফআইইউ) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সহায়তায় এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। একটি সাইট বন্ধ করলে অপরাধীরা নতুন সাইট তৈরি করে, আবার এমএফএস অ্যাকাউন্ট বন্ধের পর অ্যাপভিত্তিক জুয়া চালু করে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় হতে হবে এবং মোবাইল অপারেটরদের ‘প্যাকেট কোরে পপ-আপ ব্লক’ বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, ট্রাফিক ক্লাসিফায়ার এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত পপ-আপ বিজ্ঞাপন বন্ধ করা যায়। একইসঙ্গে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘অ্যাকটিভ ক্রলার’ ব্যবহার করে জুয়া ও বেটিং প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আগামী নভেম্বরে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার চালু করা হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।
এসময় জুয়া প্রতিরোধে বিটিআরসি ও ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি একযোগে কাজ করছে বলে জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। তিনি বলেন, তরুণদের মানসিকতা পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহার দিয়েও জুয়া প্রতিরোধ করতে হবে।
সভায় বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারীসহ অন্য প্রতিনিধিরাও বক্তব্য দেন।