ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: কোন মেডিক্যাল কলেজের বারান্দা পর্যন্ত না গিয়েই নিজের নামের পূর্বে ডা. পদবী বসিয়ে জটিল সব রোগের চিকিৎসা দিতে গিয়ে সোহাগ ইসলাম বাবু নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার ঠাকুরগাঁওয়ের বড় খোচাবাড়ী হাট নামক এলাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লঅহ আল মামুন ও্রই ভুয়া চিকিৎসককে উপরোক্ত দন্ডে দন্ডিত করেন। দন্ডপ্রাপ্ত চিকিৎসক মোঃ সোহাগ ইসলাম বাবু (২০) সদর উপজেলার কিসমত দৌলতপুর এলাকার মৃত-খলিলুর রহমান এর ছেলে।
স্থানীযরা জানান, সোহাগ ইসলাম বাবু বেশকিছু দিন ধরে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বড় খোঁচাবাড়ী এলাকায় বিশাল সাইনবোর্ড লাগিয়ে নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দাবি করে এলাকার গরীব-অসহায় মানুষদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন।শুধু তাই চিকিৎসক হিসেবে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়েও গ্রাম গন্জে প্রচারনা চালান।
এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার দোকানে হানা দিয়ে তাকে জেরা করলে কথিত চিকিৎসক বাবু নিজের সকল দোষ স্বীকার করে বলেন, তার ভিজিটিং কার্ডে উল্লেখ করা ডিপ্লোমা ডাক্তারও লেখা থাকলেও তিনি ডিপ্লোমাধারী নন। এমনকি তার উল্লেখ করা ডিগ্রিগুলো পল্লী চিকিৎসকের।তাছাড়া তিনি ডিএমএফ ডিগ্রি করেন নি এবং তার নেই কোন ডিগ্রির সার্টিফিকেট।
এ সময় নির্বাহী অফিসার তার ব্যাগ চেক করলে বেরিয়ে আসে আরও ভয়ানক তথ্য। তার ব্যাগ থেকে বের হয় রোগীর প্রেসক্রিপসনের সেট (কোন রোগ হলে কোন ওষুধ দেওয়া হবে)। সেখানে রোগের লক্ষণ বিবরণ সহ কি ঔষধ দেয়া হবে তার তালিকা লিখা রয়েছে। এই তালিকা তিনি যে ডাক্তারের কম্পাউন্ডার হিসেবে কাজ করেছেন তার করে দেওয়া এবং সে মোতাবেক তিনি রোগীদের চিকিৎসা দিতেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, বড় ধরণের কোন অঘটন ঘটার আগেই আমরা অপরাধীকে ধরতে পেরেছি। অপরাধী তার সব দোষ স্বীকার করায় তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।